জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরে ৪ শতাধিক গ্রাহকের ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আবু হায়াত আল মাহমুদ (৫০) নামে এক ‘হায় হায়’ এনজিও কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
দিনাজপুর শহরের ঈদগাহ আবাসিক এলাকায় একটি ফ্লাট বাসায় সোমবার বিকেল থেকে ভুক্তভোগীরা ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রাত ১২টায় দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক এনজিও কর্মকর্তা দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের মৃত জাহিদ হাসানের ছেলে। তিনি ব্রিজ অফ লাইট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি। এনজিওটির সদস্য সংখ্যা ৫ শতাধিক বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী আমেনা খাতুন জানান, কয়েকদিন আগে এনজিও’র একজন মাঠকর্মী আমার বাড়িতে গিয়ে একটি ফরম পূরণ করিয়ে নেন। পরে তারা আমাকে তাদের সমিতি থেকে ঋণ দেয়ার প্রস্তাব দেন। তখন মাঠকর্মী ৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হবে বলে জানান। তবে আমাকে ৫০ হাজার টাকা তাদের অগ্রিম দিতে হবে। তারপর আমি তাকে মানুষের কাছে ধার করে নিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেই। তারা আমাকে ১১ এপ্রিল ঋণ দেয়ার কথা জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন। সোমাবার বিকেলে খবর পাই তারা আমার মতো বহু মানুষের কাছে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই শুনে এসে দেখি শত শত গ্রাহক ভিড় জমাচ্ছে।
এ সময় গ্রাহকদেও সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার কথা জানিয়ে আবেদন ফরম করতে হবে বলে ৫ থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে এই হায় হায় এনজিওর কর্মকর্তারা।
আটক এনজিও কর্মকর্তা আবু হায়াত আল মাহমুদ নিজেকে এই এনজিওর চেয়ারম্যান হিসাবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, তার এই অফিসে ১৩ জন কর্মকর্তা কর্মচারি রয়েছেন। ১৫ দিন আগে তিনি এই অফিসের কার্যক্রম চালু করেছেন। তিনি সমবায় থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন।
এদিকে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার এএসআই বাদল কুমার জানান, এনজিও কর্মকর্তা বহু লোকের টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিকেলে তাকে অফিসে আটক করে রাখে জনগণ। পরে আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে রাত ১২টায় এনজিও কর্মকর্তাকে কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসি। আজ মঙ্গলবার কোতয়ালী থানায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে আসতে বলা হয়েছে। সেখানে দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।