জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে মাদক মামলায় দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পঞ্চাষোর্ধ এক নারীকে কারাভোগের পরিবর্তে ৭ শর্তে বাড়িতে সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে দুই বছর তাকে শর্তগুলো পালনের পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে হবে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদলতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আজিমন বেগম যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের মনির শেখের স্ত্রী।
আজিমন বেগমকে যে শর্ত পালন করতে হবে সেগুলো হলো- কোন প্রকার অপরাধের সাথে জড়ানো যাবেনা, সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে হবে, সকলের সাথে সদাচারণ করতে হবে, আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে কখনো তলব করিলে শাস্তি ভোগ করিবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যথাস্থানে হাজির হতে হবে। কোন প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা বা চলাফেরা করতে পারবেন না। আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে নিজের বাসস্থান ও জীবনধারণের উপায় সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এবং দুই বছর প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ব্যতীত নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না।
যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের এপিপি আইয়ুব খান বাবুল জানান, আজিমন বেগমকে ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট বেনাপোলের ত্রিমোনী হরিমালী গেট নামকস্থান থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের কর্মকর্তারা। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেনাপোল থানায় মামলা হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি আজিমন বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছরের সাজা দেন। তবে রায়ে বৃদ্ধা আজিমন বেগমের সাজা কারাগারে নয় বাড়িতেই ভোগ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। সাজাভোগের ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে সাতটি শর্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।