জুমবাংলা ডেস্ক : ৯ বছর আগে গুম হওয়া সোনাগাজীর যুবলীগ নেতা সারোয়ার জাহান বাবুলের সন্ধান না পেয়ে তার মা ও ভাই সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর গুম হয় সারোয়ার জাহান বাবুল। ছেলের ফেরার অপেক্ষায় আজও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মা বদরুন্নেছা।
মঙ্গলবার সকালে চরচান্দিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে গুম হওয়া যুবলীগ নেতা সারোয়ার জাহান বাবুলের মা বদরুন্নেছা বলেন, ৯ বছর অতিবাহিত হলেও ছেলেকে আজও খুঁজে পাইনি। জীবিত হোক মৃত হোক আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই। ‘বিচারের দায়িত্ব কার? কে করবে খুনীদের বিচার ? প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের শেষ আকুতি, বাবুলের সন্ধান ও ন্যায় বিচার না পেলেও এখন বাবুলের কবরটি দেখে যেতে চাই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা চাই।
ভাই চরচান্দিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম মানিক ও মা বদরুন্নেছা অভিযোগ করে বলেন, দলীয় কোন্দলের কারণে পৌর কাউন্সিলর নূরনবী লিটনের দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিতে ২০১১ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি ও সারোয়ার জাহান বাবুল ঢাকা যান। রাতে অবস্থানের জন্য ফকিরাপুল এলাকায় হোটেল ‘আসর’-এ রুম ভাড়া নেয় । ওই দিন সন্ধ্যার পর হোটেল থেকে নেমে নাস্তা করার জন্য দোকানে যাওয়ার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রধারী ৫-৭ জন সাদা মাইক্রোবাস যোগে বাবুলকে তুলে নিয়ে যায়। তৎকালীন সময়ে ২০১১ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি বাদী হয়ে পৌর কাউন্সিলর নূরনবী লিটন ও তার ছোট ভাইয়ের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা ৫-৭জনকে আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ নয় বছরেও বাবুলের সন্ধান পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা।
সারোয়ার জাহান বাবুল সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। দলীয় কোন্দলের জেরে তৎকালীন সময় পৌর কাউন্সিলর লিটনের সঙ্গে বাবুলের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরেই তাকে অপহরণ করে গুম করা হয়েছে।
বাবুল চরচান্দিয়া ইউনিয়নের চরচান্দিয়া গ্রামের ইস্রাফিল মিয়া ও বদরুন্নেছা দম্পতির ছেলে। সরোয়ার জাহান বাবুল ৯ ভাইয়ের মধ্যে ৬ষ্ঠ সন্তান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।