Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ইঁদুরের ধানে পিঠা খাবেন আজিফা বেওয়া
    বিভাগীয় সংবাদ রাজশাহী

    ইঁদুরের ধানে পিঠা খাবেন আজিফা বেওয়া

    December 5, 20223 Mins Read

    প্রতীক ওমর : কাক ডাকা ভোর। হেমন্তের কুয়াশায় আকাশ ঢাকা। শীতের পরশ অনুভূত হয় শরীরে। পরনে ছেঁড়া কাপড়। হাতে ব্যাগ আর খন্তি (মাটি খোঁড়ার হাতিয়ার)। গন্তব্য ফসলের মাঠ। উদ্দেশ্য ধানের জমিতে পড়ে থাকা এবং ইঁদুরের গর্ত থেতে ধান সংগ্রহ করা। ইঁদুরের সেই ধানেই নাতি-নাতনিদের সঙ্গে নিয়ে শীতের পিঠা খাবেন প্রায় ৬০ বছর বয়সী আজিফা বেওয়া। বগুড়ার সরিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামের মৃত মুনু জায়দারের স্ত্রী আজিফা বেওয়া এমনটাই বললেন। আজিফা বেওয়ার স্বামী মারা গেছেন প্রায় ৮ বছর পূর্বে।
    আজিফা বেওয়া
    আবাদের জমি-জমা নেই। বাড়ির ছোট্ট জায়গাটুকুই তার একমাত্র সম্বল। তিন মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। এরমধ্যে আবার ছেলে-মেয়ের পক্ষের নাতি-পুতি রয়েছে ৯ জন। ছেলেরা অন্যের দোকানে কাজ করে। যে মাইনে পায় তা দিয়ে তাদের দিন যাওয়াই কঠিন। ফলে নাতি-পুতিদের শীতের পিঠা-পুলি খাওয়ানোর সাধ্য হয়ে ওঠে না। এজন্যই ব্যাগ বস্তা সঙ্গে নিয়ে মাঠে-মাঠে ঘুরছেন তিনি। জমিতে ঝরে পড়া ধান আর ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করছেন।

    আজিফা বেওয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, গ্রামের প্রায় ঘরে এ সময় পিঠা পায়েশের আয়োজন হয়। মেয়ে জামাইদের দাওয়াত দিয়ে রীতিমত উৎসব হচ্ছে। পিঠার ঘ্রাণে পুরো এলাকা মৌ-মৌ করে। এ সময় সবারই ইচ্ছে হয় পিঠের স্বাদ নেয়ার। আমার ঘরেও ছোট নাতি-নাতনি আছে। তারা অন্যের বাড়ির দিকে চেয়ে থাকে। এমন অবস্থা দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। ভাত রান্নার চাল জোগাড় করা যেখানে কঠিন হয়ে পড়েছে সেখানে পিঠার আয়োজন কি করে করি? তেল চিনিও কেনার টাকা নেই ঘরে। মন কাঁদে কিন্তু গরিব বলে কিছুই করার থাকে না। কয়েকদিন আগে নাতি-নাতনিরা পিঠা খাওয়ার জন্য জেদ ধরেছে। সেজন্যই উপায় না পেয়ে ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহের জন্য মাঠে নেমেছি। সারাদিন মাঠ চষে বেরিয়ে কেজি দশেক ধান সংগ্রহ করা যায়। কয়েকদিন টানা ধান সংগ্রহ করে নাতি-নাতনিদের পিঠে খাওয়ানোর চেষ্টা করবো।

    ওদের মুখে দু’একটি পিঠে তুলে দিতে পারলে আমার মনটা ভরে যাবে। শান্তি পাবো। এদিকে ইঁদুরের গর্তে হাত দিয়ে ধান সংগ্রহ করা খুবেই ঝুঁকিপূর্ণ। সাপ-পোকামাকড় কামড় দিতে পারে। মাঝে মধ্যেই সাপে কাটার খবরও আসে। এমন নির্ঘাত ঝুঁকি নিয়ে আজিফা বেওয়ার মতো অনেক অসহায় মানুষ ইঁদুরের গর্তে হাত দিচ্ছেন। দেশের চলমান দৈন্যদশার কারণে অনেকেই দারিদ্র্যতার কষাঘাতে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছেন। বাজার পরিস্থিতি দিনদিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। নিত্যনৈমিত্তিক খরচ জোগাতে বেশির ভাগ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। আনন্দ আয়োজন কমে যাচ্ছে গ্রাম থেকে। সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠছে অনেকের কাছে। ঘরে ঘরে বেকার তরুণরা অসহায় হয়ে বসে আছে। চাকরির বাজারো চড়া। একেরপর এক পরীক্ষা ভাইভা দিয়েও কর্মসংস্থানের দেখা মিলছে না। যে সময় পরিবারকে সহযোগিতা করার কথা সে সময়ও অনেকে হাত খরচের টাকার জন্য পরিবারের দিকেই তাকাতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে এখন আজিফা বেওয়াদের মতো মানুষের এভাবে মাঠে মাঠে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আইবিএ’ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. হাছানাত আলী বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রকমের খারাপ যাচ্ছে। ‘নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। মধ্যবিত্তরাও এখন দামের চাপে ব্যাগের তলানিতে পণ্য নিয়ে ফিরছেন ঘরে। নিম্নবিত্তদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। দাম বাড়ার কোনো কারণ না থাকলেও মোটা চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, পিয়াজ, মসুর ডালসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছেই। এসব পণ্যের চড়া দামে ক্রেতারা যেমন চাহিদার তুলনায় পণ্য কম কিনছেন, তেমনি বিক্রেতাদেরও কেনাবেচা কমেছে। দাম শুনে অনেকে প্রয়োজনীয় পণ্য না নিয়েই ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই এক কেজির জায়গায় আধা কেজি নিচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ নাজেহাল।

    খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চল ও বস্তিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী সুষম খাদ্য পাচ্ছে না বললেই চলে। বর্তমানে শহর-গ্রামগুলোতে শীতের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ার কথা। কিন্তু অর্থের অভাবে অনেক বাড়িতে পিঠার আয়োজন হচ্ছে না। উচ্চবিত্তদের বাড়িতে এই আয়োজন দেখা গেলেও নিম্নবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের বাড়িতে তেমন দেখা মিলছে না’। তিনি মনে করেন দেশের এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ভয়াবহ একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে’। সূত্র : মানবজমিন

    মাছ ধরার উৎসবে হাজারো মানুষের ঢল

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    আজিফা ইঁদুরের খাবেন ধানে পিঠা বিভাগীয় বেওয়া রাজশাহী সংবাদ
    Related Posts
    BGB

    ৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি

    May 21, 2025
    Manikganj

    চাঁদা না দেওয়ায় সিএনজি চালককে থুতু চাটালেন সাবেক ছাত্রদল নেতা!

    May 21, 2025

    চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা আটক

    May 21, 2025
    সর্বশেষ সংবাদ
    ওয়েব সিরিজ
    শহুরে মেয়ে আর সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গল্প – না দেখলে মিস
    Thousands of students stuck.
    চবির শাটল ট্রেন : সময়নাশের ফাঁদে আটকে হাজারো শিক্ষার্থী
    BGB
    ৩ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি
    EC
    স্থানীয় না জাতীয় নির্বাচন আগে, সিদ্ধান্ত নেবে সরকার : ইসি
    ইস্পাহানির অনন্য সাফল্য
    ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫’-এ শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেল ইস্পাহানি
    Xiaomi 15S Pro Geekbench Scores
    Xiaomi 15S Pro Geekbench Scores Reveal Surprising Power of Xring O1 Chipset
    One Girl One Wolf Viral Video
    One Girl One Wolf Viral Video Sparks Cultural Buzz on Social Media
    ওয়েব সিরিজ
    দরজা খুললেই কামনার আগুন, উত্তেজনায় ভরা প্রতিটি ফ্রেম!
    মানুষের মন
    ছবিটি ভালভাবে দেখুন, এটি আপনার মন পড়তে পারে
    Cow
    ২ ধরনের মানুষকে শরিক করলে কোরবানি হবে না
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.