জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা ঘটনায় শনিবার নতুন করে রবিউল ইসলাম ও নাদিম হোসেন পলাশ নামে ২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলার গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ জন। নতুন দুইজন গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শনিবার বিকেলে রবিউল ইসলাম নামে এক আসামিকে ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে দিনাজপুর ডিবি পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রবিউল ইসলাম (৩০) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধামাহার ভীমপুর গ্রামের খতিবউদ্দীনের ছেলে এবং ঘোড়াঘাট ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত একজন কর্মচারী। ঘোড়াঘাট উপজেলায় মালি হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত জানুয়ারি মাসে তাকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
শনিবার বিকাল ৫টায় রবিউল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর। বিচারক শুনানি শেষে তাকে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর জানান, এই মামলায় রবিউল ইসলাম নাদিম হোসেন পলাশকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত রবিউল ইসলামের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করায় তাকে শনিবারই রিমান্ডে নেয়া হয়। অপর আসামি নাদিম হোসেনের রিমান্ড আবেদন করা হয়নি বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানম ঢাকায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
আলোচিত ওই হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলা ডিবি তদন্ত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।