নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম করার লক্ষ্যে কাজ করছে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ দুই বছর পর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন তিনি।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে ১ জুন সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জনসমাগম ঘটানো। তবে এখনো আমরা বলতে পারছি না কত লোক হবে। আমরা আশা করছি, বঙ্গবন্ধুকন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
তিনি আজ ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভা সফল করার লক্ষ্যে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বলেন, সব দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রনায়োকোচিত কারণে তার দৃঢ়তার কারণে, তার সততার কারণে বাঙালি জাতি একাত্তরের পর পদ্মা সেতুর মাধ্যমে এই আরেকটি বিজয় অর্জন করছে বলে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে তাদের ভেতরে সেই আমেজ কাজ করছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমাদের নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি দুই বছর কোভিড মোকাবিলা করেছেন। কোভিডকালে তিনি স্বাস্থ্যবিধির কারণে জনসম্মুখে আসতে পারেননি তেমন। কাজেই দীর্ঘ দুই বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতির উদ্দেশে জনসম্মুখে ভাষণ দেবেন। কাজেই এখানে কত লাখ লোক হবে, আমরা কিন্তু বুঝতে পারছি না। সে কারণেই কিন্তু এই সংগঠনগুলোকে নিয়ে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার আলোচনা করতে হয়েছে। কেউ বাসে আসবে, কেউ লঞ্চে আসবে, অন্যান্য যানবাহনে চড়ে আসবে। সেগুলো কীভাবে নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জুন মাস গরমের দিন। বৃষ্টিও হতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে আসা মানুষদের কেউ অসুস্থ হলে যেন তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেজন্য আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা ধারণা করেছি, কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম হবে পদ্মাপাড়ে। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে এখনই আমরা বলতে পারছি না। তবে আমাদের উদ্যোগ হলো, জনসমাগম যাই হোক, বিশাল জনসভাকে সাফল্যমন্ডিত করতে হবে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।