জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারে টেকনাফে আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবা কারবারির মাঝে আরো ২১ শীর্ষ ইয়াবা কারবারি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে বাসায় গেছেন।
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পাওয়ারা হলেন- আবদুর শুক্কুর ও আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, মো. শাহেদ রহমান নিপু, ফয়সাল রহমান, মারুফ বিন খলিল প্রকাশ বাবু, রেজাউল করিম মেম্বার, মো. হাবিবুর রহমান প্রকাশ নুর হাবিব, শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মেম্বার, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মো. জুহুর আলম, বোরহান উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান রাসেল, মং অং থেইন প্রকাশ মমচি, শামসুল আলম শামূম, নুরুল বশর কাউন্সিলর প্রকাশ নওশাদ, হোছাইন আহমদ ও মোহাম্মদ আয়ুব।
জামিন পাওয়া ২১ ইয়াবা কারবারির মাঝে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির দুই ভাই আবদুর শুক্কুর ও আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিনসহ ৮ স্বজন রয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ নভেম্বর কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে আরো ৫ আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে যান। আত্মসমর্পণের সময় দায়ের করা মামলার এজাহার ভূক্ত ১ ও ২ নম্বর আসামিও মুক্ত হয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেছেন, নুরুল হুদা মেম্বার, নুরুল কবির, মোহাম্মদ ইউনুস, মাহবুব আলম ও মঞ্জুর আলী। এ নিয়ে আত্মসমর্পণকৃত মোট ২৬ জন আসামি জামিনে এলাকায় ফিরেছেন।
এদিকে, কারাগারে থাকা একই মামলায় আরো ৪৭ জন আসামি সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার পরবর্তী ধার্য দিন আগামী ২২ নভেম্বর এই জামিন আবেদনসমূহ শুনানির জন্য রেখেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) খোরশেদ আলম বলেন, জামিনে মুক্ত হওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। তারা পুনরায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা হয় কি না। ভুলেও যদি তারা আবারো মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও জামিন বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে শর্তসাপেক্ষ আত্মসমর্পণ করেছিলেন। উদ্ধারকৃত মালামাল নিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মাঝে একজন কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান। বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযুক্তপত্র দাখিল করে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।