জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নে কথিত বন্দুকযুদ্ধে লবনচাষি আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তিন বছর আগে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগমের করা মামলাটি শুনানি শেষে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত আবদুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়াও পুলিশের আরও পাঁচ সদস্যকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- মহেশখালী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ ও ইমাম হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন।
এছাড়াও এ মামলাটিতে পুলিশের ছয় সদস্যের পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীসহ তার বাহিনীর ২৩ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ নম্বর আসামি। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় থানা মামলা নেয়নি। পরে ভুক্তভোগী পরিবার উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হলে উচ্চ আদালত রিট পিটিশন (নং-৭৭৯৩/১৭) মূলে ‘ট্রিট ফর অ্যাফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে পুলিশকে আদেশ দেন। সেই আদেশের আলোকে একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে (এসপি) লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হলেও পুলিশ এ আবেদন আমলে নেয়নি।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম। সূত্র : বাংলানিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।