জুমবাংলা ডেস্ক : রাতে ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জের স্বপন মির্জা (২০)। এরপর বাসায় ফিরে ঘরে ঢুকে দেখেন তার মায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহটি মেঝেতে পরে আছে।
এরপর শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চৈতারপাড়া গ্রাম থেকে নিহত নাজমা বেগমমের (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
পরে সকালে নিহতের মরহেদ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক।
নিহত নাজমা কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চৈতারপাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল মমিন ওরফে মোমেন মির্জার স্ত্রী। তিনি গৃহিনী ছিলেন। স্বামী ছাড়াও তার আরও ২ ছেলে সৌদি প্রবাসী এবং ১ ছেলে সদ্য এইচএসসি পাস করেছে।
নিহতের ছেলে স্বপন মির্জা জানান, ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ওয়াজ চলছিল। তাই মাকে বলে ওয়াজ শুনতে চলে যান স্বপন। যাওয়ার সময় মা তাকে বলেন, রাত ৮টার মধ্যে চলে আসতে। ছেলে আসলে মা যাবে ওয়াজ শুনতে। কিন্তু স্বপন আসতে আসতে প্রায় পৌনে ৯টা বেজে যায়। এরপর তিনি এসে দেখেন মায়ের রক্তাক্ত দেহ মেঝেতে পড়ে আছে। এ সময় মাথায় গুরুতর জখম ছিল। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আহত নাজমার দেহ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে ঢাকার নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে মায়ের এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বা দুর্ঘনাজনিত কোনো মৃত্যু বলে মানছেন না। তার অভিযোগ তার মাকে কেউ হত্যা করেছে।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের পক্ষে হত্যার অভিযোগ উঠায় ময়নাতদন্তের জন্য মরহেদ গাজীপুরে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য নিহতের এক ছেলেসহ ৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে। তবে কে বা কারা, কেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।