আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহামারির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন ৪২ বছর বয়সী ম্যাট হ্যানকক। লোকজনকে করোনার বিধি মানতে নিয়মিত উপদেশ দিয়ে আসছেন তিনি। এর আগে গত বছর একইভাবে করোনাবিধি লঙ্ঘন করায় এক জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
করোনা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা লঙ্ঘনের ঘটনায় শুক্রবার (২৫ জুন) ক্ষমা চেয়েছেন হ্যানকক। এর আগে দ্য সান ট্যাবলয়েডে দেখা গেছে, তিনি এক জ্যেষ্ঠ নারী সহযোগীকে ঘনিষ্ঠভাবে আলিঙ্গন ও চুমু খাচ্ছেন।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাড়ির বাইরে এভাবে ঘনিষ্ঠভাবে শরীর স্পর্শ করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হ্যানককে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন এবং আস্থা রেখেছেন। যদিও তাকে বরখাস্তের আহ্বান আসছে চারদিক থেকে।
বিরোধী দল লেবার পার্টির এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বীকার করে নিচ্ছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন করেছি। আমি মানুষকে হতাশ করেছে। কাজেই এ ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
বরিস জনসন মনে করেন, ঘটনাটি এখানে শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না।
দ্য সান বলছে, আমাদের কীভাবে আচরণ করতে হবে, তা হ্যানকক এখন থেকে মাথা উঁচু করে বলতে পারবেন না। তিনি যা করেছেন, তা নোংরা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।
গত ৬ মে লন্ডনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। গিনা কোলাডানগেলো নামের ওই নারী সহযোগী তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু। ২০০০ সালের দিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পরিচয় হয়েছিল।
হুইসল ব্লোয়ারের বরাতে দ্য সান জানিয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে স্ত্রী মার্থা হোয়ার মিলারের সঙ্গে প্রতারণা করছেন ম্যাট হ্যানকক। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি থেমে থাকেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।