জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকায় করোনায় মৃতদের দাফন ইসলামি নিয়ম মেনেই সম্পন্ন হবে। এজন্য আলেমদের সেই টিম প্রস্তুত রয়েছে। এই নম্বরে ০১৯২০-৭৮১৭৯২ ফোন করলেই মৃতের কাছে পৌঁছে যাবেন তারা। পরে গোসল দাফন সব কাজই করবে এ দলটি। এ টিমের প্রধান প্রধান মাওলানা গাজী ইয়াকুব।
বুধবার (৮ এপ্রিল) তিনি এই প্রতিবেদককে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গাজী ইয়াকুব বলেন, করোনা আক্রান্তদের জানাজা ও দাফন সঠিক ইসলামি নিয়মে সম্পন্ন করতে এই টিম গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকায় এ কাজটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী মারা গেলে তাদের জানাজা-দাফনের প্রয়োজন হলে আমাদের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে আমরা সেখানে পৌঁছে যাব। মরদেহের জানাজা ও দাফন কার্যক্রম আমরা সম্পন্ন করব। কারও কাফনের কাপড় দরকার হলেও আমরা তার ব্যবস্থা করব।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তিন-চার ঘণ্টা পর তার শরীরে আর জীবাণু থাকে না। এ জন্য কেউ কল করলে তিন-চার ঘণ্টা পর তার জানাজা-দাফনের ব্যবস্থা করব আমরা।’
মাওলানা ইয়াকুব আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মুসলমানদের জানাজা ও দাফন নিয়ে সংকটের কথা শুনেছি। এ জন্য আমরা চাচ্ছি আমাদের দেশে যেন সে রকমটি না ঘটে। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক যেন একজন মুসলমানের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয় সেজন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, দাফনের এ টিমের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। টিমটি আপাতত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কাজ করবে। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তাও দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিপ্তর থেকে টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয়েছে।
করোনায় মৃতদের দাফনে গঠিত এ টিমের নেতৃত্বে রয়েছে মাওলানা গাজী ইয়াকুব। টিমের অন্য সদস্য হলেন এইচ এম লুৎফর রহমান, হিফজুর রহমান, সালমান বিন সাজিদ, নুরুননাবী নুর, কারী ওসামা বিন নিজাম ও মোহাম্মদ রাফী। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আরও ৬০ থেকে ৭০ জন আলেম এ কাজে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরও দলে নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক (ইমাম প্রশিক্ষণ বিভাগ) আনিস শিকদার বলেন, ‘ঢাকায় সীমিত আকারে মারকাজুল ইসলামের সঙ্গে আলেমরা কাজ শুরু করেছে। ঢাকার বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে গতকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি পিপিইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহ করে তাহলে কাজ শুরু করতে পারবে। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের দরকার আছে।’
তবে এ টিমে কোনো নারী নেই জানিয়ে আনিস শিকদার বলেন, সেক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত কোনো নারী মারা গেলে সমস্যা হবে। দাফন টিমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ কোনো নারী কর্মীর ব্যবস্থা থাকলে ভালো হতো।
প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। আল মারকাজুল সংগঠনের কয়েকজন, মেডিকেল টিম ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম এতদিন মৃতদেহের জানাজা ও দাফন করে আসছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।