জুমবাংলা ডেস্ক : কর্মজীবনের শেষ বিদায় নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজশিক্ষক সদর উদ্দিন। কিন্তু তার আর বাড়ি ফেরা হলো না। এর আগেই লাশ হলেন তিনি।
রোববার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীর বাজার সড়কের মস্তবাপুর এলাকায়।
নিহত সদর উদ্দীনের বাড়ি ঝিনাইদহের নারিকেল বাড়িয়ার টিকারি গ্রামে। তবে ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর বটতলায় পাশে বাড়ি করে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। তিনি বাঘারপাড়া কলেজের ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার সদর উদ্দিনের কর্মজীবনের শেষ দিন ছিল। কর্মস্থল থেকে সহকর্মীদের দেয়া বিদায় সংবর্ধনা শেষ করে বিকেলে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। গাজীর বাজার সড়কের মস্তবাপুর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহতের ভাই মশিউর রহমান জানান, দুবার স্ট্রোক করেছেন তার ভাই সদর উদ্দিন। তার স্ত্রী তওফিকা বেগম একজন স্বাস্থ্যকর্মী। আর একমাত্র মেয়ে সোনিয়া খাতুন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
সহকর্মীদের ছেড়ে আসার কষ্টসহ জীবনের বাকি সময় কীভাবে কাটাবেন- এমন চিন্তা-ভাবনা করতে করতে হয়তো মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন সদর উদ্দিন। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন মশিউর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।