স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় নিযুক্ত রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন, কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করা বাংলাদেশের শিয়াকত আলী। ৯ বছর ধরে কাতারে সহকারী রেফারি হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রামের ছেলে শিয়াকত। এরইমধ্যে পরিচালনা করেছেন ঘরোয়া ফুটবলের প্রায় চার হাজার ম্যাচ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত এই রেফারি। নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বকাপে সেরাটা দিয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান শিয়াকত।
আগামী ২০ নভেম্বর থেকে মরুর বুকে ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠের খেলায় না থেকেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন সারা বিশ্বের ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি ও ২৪ জন ভিডিও ম্যাচ অফিসিয়াল।
তাদের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশের রেফারি শিয়াকত আলী। ২০১৩ সালে কাজের সূত্রে কাতারে পাড়ি জমান চট্টগ্রামের ছেলে শিয়াকত আলী। সেখানে বার্সেলোনার একটি রেফারি অন্বেষণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েই কপাল খুলে যায় তার।
প্রথমে কাতার ফুটবলে ১৬ দিনের রেফারি প্রশিক্ষণ শেষ করেন। এরপর কাতারের স্পায়ার একাডেমি থেকে রেফারিং অ্যান্ড স্পোর্টস সাইকোলজিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরইমধ্যে রেফারিংয়ের ওপর সি ও ডি ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেছেন। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে কাজ করছেন সহকারী রেফারি হিসেবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি একমাত্র বাংলাদেশি রেফারি কো-অর্ডিনেটর শিয়াকত। কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র রেফারি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে খুশি তিনি।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শিয়াকত আলী বলেন, ‘কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিফা কর্তৃপক্ষ রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আমি যোগ হয়েছি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। সকলের কাছে দোয়া চাই।’
কঠোর পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে আরও এগিয়ে নিতে চান শিয়াকত। তিনি বলেন, ‘এখানে আমার দায়িত্ব পালন, আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমার পক্ষ থেকে আমি চেষ্টা করব যেন দায়িত্ব সুন্দর ও ভালোভাবে পালন করতে পারি।’
সুযোগ পেলে বাংলাদেশের রেফারিদের সঙ্গেও কাজ করতে চান জানিয়ে শিয়াকত বলেন, ‘সামনে কাতারের রেফারি এবং আমাদের রেফারিদের জন্যেও কাজ করতে চাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।