নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে যখন মানুষ ও প্রকৃতি হাঁপিয়ে উঠেছে, ঠিক সেই সময়ে চারদিকে সবুজের বুক চিরে হলুদ, রক্তিম ও বেগুনী আভা জানান দিচ্ছে তাদের নয়নাভিরাম রূপের। ঢাকা লাগোয়া শিল্পাঞ্চল খ্যাত জেলা গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন পথ-ঘাট এখন প্রকৃতির এমনই এক অপরূপ সাজে সজ্জিত।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কখনো দেখা মিলছে রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টি। আর এর মধ্যেও প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল ফুলের রং। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে পথচারীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী ব্রিজের এক কোনে সড়কের পাশে সোনালু ফুলের হলুদ আভায় রঙিন হয়েছে পুরো সড়ক। গাছটি সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের বিমোহিত করছে। কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় পাঠাগার চত্বরে ঠায় দাঁড়িয়ে দুটি জারুল গাছ। গাছ দুটি পাঠাগারে আসা পাঠক-দর্শনার্থীদের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে।
কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কোণে অনেক পুরনো দুটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। ওই জায়গাটা খুবই ঠান্ডা। গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা যে কারও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উঠা আসা বাতাসে সহজেই গা জুড়িয়ে যায়। তাছাড়া এখানে অনেকেই আসেন ঘুরতে ও ছবি তুলতে। আবার অনেকে গাড়ি থামিয়ে বিশ্রামও নেন।
কালীগঞ্জের আনাচে-কানাচে এ রকম অসংখ্য সোনালু, জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে। যা সবুজের মাঝে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ করেছে।
উপজেলার দড়িসোম গ্রামের মুহাম্মদ আলামিন বলেন, আসলে এ সময়টাতে প্রকৃতিতে ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করে। বিষেষ করে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুলের রং আমাদের মনকে রাঙিয়ে যায়।
ভাদার্ত্তী গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল গাছ লাগানো হলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি অবিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘাটতি পূরণ হবে।
বোয়ালী গ্রামের রনি হায়দার সুমন বলেন, ফুল আমার খুব প্রিয়। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতি সাজে নিজের মত করে। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ সুযোগ মতো গাছ লাগানো। সেক্ষেত্রে সোনালু, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল হলে মন্দ হয় না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম ইমাম রাজী টুলু বলেন, আবেগের বশে বিদেশি গাছ না লাগিয়ে এলাকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খায় এমন গাছপালা লাগানো উচিত। সেক্ষেত্রে সোনালু, জারুল বা ছাতিম গাছও হতে পারে। এতে করে গাছগুলোতে ফুল ফুটলে প্রকৃতি ভিন্ন এক মাত্রা যোগ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।