Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home কোয়াশিওরকর রোগ প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা
    লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য

    কোয়াশিওরকর রোগ প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাদ্যের ভূমিকা

    January 16, 20254 Mins Read

    সাধারণত কোনো শিশু কোয়াশিওরকরে আক্রান্ত হলে মুখে পানি জমে চাঁদের মতো গোল হয়ে যায়। শুধু মুখই নয়, শরীরে, পা এমনকি লিভারেও জমতে পারে পানি। প্রশ্ন হলো, শিশুদের এই কোয়াশিওরকর রোগ কেন হয়? শিশুদের প্রোটিনের ঘাটতিজনিত গুরুতর অপুষ্টিজনিত রোগ হলো কোয়াশিওরকর। সাধারণত মায়ের দুধ ছাড়ানোর পর ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

    কোয়াশিওরকর রোগ

    মায়ের দুধ ছাড়ানোর পর শিশুরা যদি সুষম ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য না পায়, তাহলে এ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ১-৩ বছর বয়সী শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ, এই সময় তাদের দ্রুত শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। এ বয়সের শিশুরা সংক্রমণের ঝুঁকিতেও বেশি থাকে, যা অপুষ্টি সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।

    দরিদ্র দেশগুলোতে, সাধারণত যেখানে পুষ্টির অভাব বড় সমস্যা সেখানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। বিশ্বের দরিদ্র ও জনবহুল এলাকায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ, আফ্রিকা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কোয়াশিওরকরের প্রকোপ বেশি। এসব অঞ্চলে শিশুদের খাদ্য প্রধানত শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্যশস্য ও শাকসবজির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, যা প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে অসমর্থ। শর্করাপ্রধান খাদ্যাভাসের বাংলাদেশে অপুষ্টিজনিত রোগের কারণে শিশু মৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগজনক।

    কোয়াশিওরকর মূলত খাদ্যের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাবে হয়। প্রোটিন মানব শরীরের কোষ ও টিস্যুর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন শিশুরা শর্করাসমৃদ্ধ কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতিযুক্ত খাবার খায় খায়, তখন এ রোগ দেখা দেয়।

    বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী প্রধানত চাল, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি শর্করাসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করে। এতে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় না। যদিও মায়ের দুধ শিশুর জন্য প্রোটিনের একটি প্রধান উৎস। অনেক ক্ষেত্রে মায়ের দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে, অথবা শিশুকে সময়মতো পরিপূরক খাদ্য দেওয়া হয় না হলে এ রোগ হতে পারে।

    আবার অনেকের সুষম খাদ্য কেনার সামর্থ্য থাকে না। এমন পরিবারের সন্তানদেরও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসহ দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত শিশুরা অপুষ্টির ঝুঁকিতে থাকে। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোয়াশিওরকর এখনও একটি বড় শিশু স্বাস্থ্য সমস্যা।

    প্রোটিনের মূল বিল্ডিং ব্লক হলো অ্যামিনো অ্যাসিড। অর্থাৎ অ্যামিনো অ্যাসিড হলো প্রোটিনের মৌলিক উপাদান। ২০ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে ৯টি অত্যাবশ্যকীয়। এগুলো শরীরে নিজ থেকে তৈরি হয় না। ফলে খাবার থেকে ঘাটতি পূরণ করতে হয়।

    শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের সময় শরীরের প্রতিটি অংশ সঠিকভাবে কাজ করার জন্য কিছু প্রোটিন ও অ্যামিনো অ্যাসিডের  প্রয়োজন। বিশেষত শিশুদের জন্য ৯টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড দরকার। এগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে বলছি:

    ১. লিউসিন (Leucine): পেশি গঠনে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। ডিম, মুরগি, বাদাম ও ডাল লিউসিনের ভালো উৎস।

    ২. আইসোলিউসিন (Isoleucine): পেশি তৈরিতে ও হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। আইসোলিউসিনের উৎস ডাল, বাদাম, মাছ।

    ৩. লাইসিন (Lysine): লাইসিন শিশুর দেহে ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়ায় এবং হাড়ের গঠনে সহায়ক। দুধ, পনির, মাছ ও মাংস লাইসিনের উৎস।

    ৪.মিথিওনিন (Methionine): এটি কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ডিম, মাছ, মাংস, ডাল মিথিওনিনের ভালো উৎস।

    ৫. থ্রিওনিন (Threonine): থ্রিওনিন ত্বক, হাড় ও লিগামেন্ট গঠনে সাহায্য করে। ডিম, মাংস ও দুধ থেকে ভালো মানের থ্রিওনিন পাওয়া যায়।

    ৬.ট্রিপটোফ্যান (Tryptophan): ট্রিপটোফ্যান শিশুর ওপর বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর জন্য কলা, ডিম ও দুধ ট্রিপটোফ্যানের উৎস হিসাবে কাজ করে ।

    ৭. ভ্যালিন (Valine): মস্তিষ্ক এবং নার্ভাস সিস্টেমের সঠিক কার্যক্রমে সহায়তা করে। ডাল, বাদাম, মাছ থেকে এটি পাওয়া যায়।

    ৮. হিস্টিডিন (Histidine): রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। এর উৎস মাংস, ডাল ও বীজ।

    ৯. ফেনাইলঅ্যালানিন (Phenylalanine): এনজাইম এবং হরমোন উৎপাদনে সহায়ক। এর প্রধান উৎস দুধ, মাছ ও ডিম।

    এই ৯টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি হলে শিশুর শরীরে অপুষ্টির লক্ষণ দেখা দেয়, যা ধীরে ধীরে অপুষ্টিজনিত রোগে রূপ নেয় । এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বুঝব যে শিশুর প্রোটিন চাহিদা কতটুকু?

    বয়স, লিঙ্গ ও শারীরিক বৈশিষ্ট্য ভেদে শিশুদের প্রোটিন চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। শিশুদের প্রোটিনের দৈনিক চাহিদার আনুপাতিক গড় হার হলো:

    ৬ মাস পর্যন্ত: শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১.৫২ গ্রাম

    ৬ মাস থেকে ১ বছর: শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১.২ গ্রাম

    ১ থেকে ৩ বছর: শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১.১ গ্রাম

    ৪ থেকে ১২ বছর: শিশুর প্রতি কেজি ওজনের জন্য প্রতিদিন ১ গ্রাম

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    কোয়াশিওরকর কোয়াশিওরকর রোগ খাদ্যের পুষ্টিকর প্রতিরোধে ভূমিকা রোগ লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য
    Related Posts
    Red Meat

    লাল মাংস খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

    June 7, 2025
    Buy

    অনলাইন কেনাকাটায় ভুলেও যা করবেন না

    June 7, 2025
    লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুরুষদের ব্রেস্ট গ্যান্ড বড় হয়ে যাওয়াকে গাইনেকোমাস্টিয়া বলে। এটি এমন একটি অবস্থা, যখন পুরুষদের স্তনের কোষ ফুলে যায়। শরীরের বিশেষ দুটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে এ অবস্থা হতে পারে। তবে যদি শুধু চর্বি জমার কারণে স্তন বড় হয়ে থাকে, তা হলে তা গাইনেকোমাস্টিয়া নয়। তখন তা পরিচিত হয় সিউডোগাইনেকোমাস্টিয়া নামে। গাইনেকোমাস্টিয়া নবজাতক, বয়ঃসন্ধিকাল ও বয়স্ক পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন গাইনেকোমাস্টিয়া বেশি উদ্বেগের কারণ। সাধারণভাবে ৭৫ শতাংশ পুরুষের বয়ঃসন্ধিকালে খুব অল্প সময়ের জন্য স্তন বড় হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সে দেখা গেলেও মূলত ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে এটি বেশিসংখ্যক ছেলের মধ্যে দেখা যায়। বয়ঃসন্ধিকালীন হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়। এ অবস্থা সাধারণত দুই বছরের মধ্যে কমে যায়। কারণ জন্মগত ও পারিবারিক কিছু কারণও গাইনেকোমাস্টিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। পাশাপাশি যেসব রোগ শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় বা অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে অণ্ডকোষ, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি, ফুসফুস বা লিভারের রোগে আক্রান্ত হলে এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গাইনেকোমাস্টিয়া দেখা দিতে পারে। পুরুষদের ব্রেস্ট গ্যান্ড বড় হওয়ার পেছনে ইস্ট্রোজেন নামক মেয়েলি হরমোনের আধিক্যকে বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়। কিছু ওষুধ খেলেও গাইনেকোমাস্টিয়া হতে পারে, যেমন কেটকেনাজোল, সিমেটিডিন। এ ছাড়া কুষ্ঠ রোগ, লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত ওজন, হরমোনের সমস্যা বয়ঃসন্ধি গাইনেকোমাস্টিয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ধরা হয়। চিকিৎসা হরমোনের সমস্যা থাকলে হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেকে বলেন ওষুধের মাধ্যমে স্তন ছোট করা যায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো রোগীর স্তন ওষুধের মাধ্যমে ছোট হতে দেখা যায়নি। স্তন ছোট করতে চাইলে অপারেশন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাবার কারণে চর্বি জমে যাদের স্তন বড় হয়েছে, তারা ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করলে এবং ওজন কমালে স্তন কিছুটা ছোট হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেও বড় স্তন কিছুটা ছোট করা সম্ভব কিছু রোগীর ক্ষেত্রে। কিন্তু পুরোপুরি তা কমবে না। পুরুষালি বুক চাইলে অপারেশন প্রয়োজন। ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

    কিছু পুরুষদের বুক মেয়েদের মত কেন বড় হয়? অনেকেই জানেন না

    June 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    BGB

    চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

    Lather

    নির্ধারিত দামে চামড়া কিনছে না সাভারের আড়তদাররা

    Rain

    টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

    DMC

    ঢাকায় কোরবানি করতে গিয়ে আহত শতাধিক

    Deepika

    মুম্বাইয়ের বৃষ্টিতে ভিজে দীপিকার প্রথম প্রেম, কে সেই প্রেমিক?

    Starlink

    কোন কোন দেশে স্টারলিঙ্ক সক্রিয়? কোথায় কত খরচ?

    WhatsApp

    হোয়াটসঅ্যাপে ফোন নাম্বার গোপন রাখবেন যেভাবে

    প্রথমবারের মতো বাংলা ছবিতে সঞ্জয় মিশ্র, সঙ্গী ঋত্বিক-সোহিনী!

    Soudi Visa

    বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৪ দেশকে ভিসা দেবে না সৌদি আরব

    Red Meat

    লাল মাংস খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.