জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট, মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার দুপুরের পর থেকে জেলার বলেশ^র, পানগুছি, ভৈরবসহ বড় বড় নদ-নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। এতে ফকিরহাট, মোংলা ও রামপাল উপজেলার বহু মৎস্যঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
এদিকে, উপকূলীয় এলাকা শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও সদর উপজেলার কমপক্ষে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়ার চালিতাবুনিয়া গ্রামে জোয়ারের পানিতে ডুবে জিনিয়া নামের (৪) একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
খাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে ঘূর্নিঝড় ও জোয়ারের প্রভাবে খাউলিয়ার চালিতাবুনিয়া গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। এসময় ওই গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কালাম গাজীর স্ত্রী লিজা বেগম তার শিশু কন্যা জিনিয়াকে ঘরে রেখে গৃহপালিত গরুকে পানি থেকে বাঁচাতে ছুটে যান। খানিক পরে ঘরে এসে তিনি তার শিশুকন্যাকে তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে শিশুটিকে ঘরের পাশে পানির মধ্যে খুঁজে পেয়ে মোড়েলগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপরদিকে, বুধবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের জিলবুনিয়া গ্রামের বলেশ^র নদের তীরে একটি মৃত হরিণ পাওয়া যায়।খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মিরা মৃত হরিণটিকে উদ্ধার করে। সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নুল আবেদীন এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও, ঘুনিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের ফলে বুধবার দুপুরের পর বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা, রহিমাবাদ, ্িবষ্ণুপুর চরগ্রাম, গোটাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। ভৈরব নদীর অপর শাখা দড়াটানা নদীর পানি বেড়ে বাসাবাটি, মারিয়া পলীø, রাধাবল্লভ, বিসিক শিল্প এলাকা, বৈটপুর , ভদ্রপাড়া ও তালেশ^রের বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাট সদরের মাঝিডাঙ্গা গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় পরিদর্শণ করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকত মো. মোছাব্বিরুল ইসলাম। ওই সময়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরন করেন।
ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়োহাওয়ার প্রভাবে শরণখোলা উপজেলার বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শরনখোলার কয়েকশ পরিবার জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বিশেষত, সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলার রায়েন্দা, রাজৈর, খুড়িয়াখারী, কদমতলা ও জিলবুনিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয় জনগনের সহায়তায় বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তীব্র জোয়ারের চাপে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। প্লাবিত এলাকাগুলোতে শুকনা খাবার সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।