জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ধনুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত ১৩ নভেম্বর নির্যাতিতা এই নারী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
ঘটনায় পর অভিযুক্ত ইব্রাহীম গা ঢাকা দিয়েছে। তিনি ধনুয়া এলাকার এনামুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে মাংস বিক্রির দোকান চালাতেন। তার পুরো পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ভিকটিম জানান, তার বাড়ি নেত্রকোনায়। জীবিকার সন্ধানে গাজীপুরের শ্রীপুরে কয়েকবছর ধরেই স্বামী ও চার বছর বয়সী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। তার স্বামী ক্ষুদ্র মুদি দোকানী। এক বছর আগে তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করলেও করোনার সময় তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। সম্প্রতি কাজের জন্য বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে যোগাযোগ শুরু করেন।
এরই এক পর্যায়ে অভিযুক্তের সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। এ সময় অভিযুক্ত তাকে ভালো চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ৩ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে ভিকটিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে স্থানীয় এনামুল হকের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এদিকে এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় বাড়ির মালিক স্থানীয় এনামুল হক অভিযুক্তকে সাথে নিয়ে তাকে আপোষের প্রস্তাব দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি থানায় অভিযোগ দিতেও বারণ করে হুমকি দিতে থাকেন।
এতে কয়েকদিন কালক্ষেপণ করে একপর্যায়ে অভিযুক্ত গা-ঢাকা দেয়। পরে তিনি স্থানীয়দের সহায়তায় থানায় অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে এনামুল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক হারুন মিয়া জানান, এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। সোমবার নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।