জুমবাংলা ডেস্ক : সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দেশের পথে রওনা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
কয়লা নিয়ে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফেরার সময় জিম্মি জাহাজটি এবার দেশের পথে বহন করছে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময়) জাহাজটি প্যারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করছিল। আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে বলে জাহাজটির পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং আশা করছে।
এর আগে গত শনিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে কয়লা খালাস করে মিনা সাকার বন্দরে যায় এমভি আবদুল্লাহ। সেখান থেকেই ৫৬ হাজার মেট্রিক টন জাহাজিকরণ করা হয়। চুনাপাথরের চালানটি চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে।
ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিনা সাকার বন্দরের লাইম স্টোন লোড করা শেষে আমরা ২৯ এপ্রিল রাতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এ চুনাপাথর কুতুবদিয়ার কাছাকাছি গভীর সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে খালাস করা হবে।’
এর আগে চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ ফেরার পথে একটি বন্দর থেকে তেল ও খাবার সংগ্রহ করবে। আশা করছি আগামী ১২ বা ১৩ মে জাহাজটি দেশে পৌঁছাবে। কুতুবদিয়ায় জাহাজের কার্গো খালাস করে চট্টগ্রাম বিচে নোঙর করবে। তখন নাবিকরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বা বাড়িতে যাবেন।’
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়।
এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। টানা এক সপ্তাহের সমুদ্রযাত্রা শেষে ২১ এপ্রিল বিকেলে জাহাজটি আল হামরিয়াহ বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।
এমভি আবদুল্লাহ’র নতুন গন্তব্য কোথায়, কবে দেশে ফিরবেন নাবিকরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।