জুমবাংলা ডেস্ক : ১০ বছর বয়সী রাজুর দুরন্তপনায় সারাক্ষণ অস্থির ছিলেন মা। নিষেধ নির্দেশ কিছু না শুনে সারাক্ষণ ছটফট করায় মা তার ওপর রেগে ছিল। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে সময়মতো বাড়ি ফেরেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজু ঘরে ফেরা মাত্র তাকে ধরে খাটের সঙ্গে বেঁধে তার এক হাঁটুর নিচে ব্লেড দিয়ে চিরে গভীর ক্ষত করে দেন তিনি। আর তারমধ্যে ঢুকিয়ে দেন লবণ ও গুড়া মরিচ। শিশুটির ভয়ঙ্কর চিৎকারে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে রাতে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে পায়ে সেলাই দেওয়া হয়।
নীলফামারী সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুর্বাছুড়ি সরকার পাড়া গ্রামে শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রাজু ওই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি খলিলুর রহমানের ছেলে। সে দিনাজপুরে মামার বাড়িতে থেকে ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। ঈদ উপলক্ষে সে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
শিশুটির চাচি মফেজা বেগম জানান, রাজুর চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে দৌড়ে এসে দেখেন ছেলেটির হাত পা বাঁধা চিৎকার করছে। আর রানুর হাতে লবণ ও মরিচের গুড়া। পরে তাকে রাতেই উদ্ধার করে স্থানীয় রামগঞ্জ হাটে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে সেলাই দিয়ে ওষুধপত্র নেওয়া হয়। রাজু এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছে।
রাজুর মা এ ঘটনা ঘটানোর পর অনুতপ্ত। তিনি জানান, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ছেলে বাড়িতে না আসায়, আমি রাগ করে ছেলেকে ভয় দেখানোর জন্য এ ঘটনা ঘটাই। আমার এটি ভুল হয়েছে, আমি আর কোনোদিন এমন কাজ করবো না।’
তবে রাজুর মায়ের ঘটানো ঘটনাটি ক্ষমা করতে পারেননি রাজুর বাবা খলিলুর রহমান। এজন্য স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন তিনি। খলিল জানান, ‘আমি বাজারে ছিলাম, খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগম ছেলের হাত পা বেঁধে নির্মম ভাবে পা কেটে লবণ মরিচ দিয়েছে। ছেলেটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। তিনি জানান, কাঁটা স্থানে ৭টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রীর অমানবিক কাণ্ড আমি সহ্য করতে না পেরে রাতেই তাকে তালাক দেই।
এ ব্যাপারে রবিবার (২৬ জুলাই) সকালে সদর থানার ওসি মমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/টিএন/
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।