ব্র্যাড জ্যাকবস একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী যিনি লজিস্টিক এবং পরিবহন শিল্পে জড়িত থাকার জন্য পরিচিত। তিনি XPO লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান এবং সিইও যা একটি গ্লোবাল ট্রান্সপোর্টেশন এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। জ্যাকবসের নেতৃত্বে, XPO লজিস্টিকস বিশ্বের বৃহত্তম লজিস্টিক কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে, যা মালবাহী পরিবহন, ই-কমার্স, লজিস্টিকসের মতো ক্ষেত্রে পরিষেবা প্রদান করে।
ব্র্যাড জ্যাকবস তার উদ্যোক্তা প্রচেষ্টা এবং অধিগ্রহণ এবং কৌশলগত উদ্যোগের মাধ্যমে XPO লজিস্টিকসের সমৃদ্ধির জন্য স্বীকৃত। তিনি লজিস্টিক শিল্প গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন এবং তার অবদানের জন্য বিভিন্ন প্রশংসা পেয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফোবর্সকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেন যে, আমরা যদি জীবনে অনেক বড় কিছু হতে চাই তাহলে অবশ্যই বড় স্বপ্ন দেখতে হবে এবং নিজের কাজে ফোকাস করতে হবে।
তিনি দলগত পারফরমেন্সের উপর অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। নিজের পাশাপাশি দলের অন্যান্য সদস্যদের উপর ফোকাস করতে হবে। একে অপরের সাথে তথ্য আদান প্রদান করা, সহযোগিতা করা ও সবার সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা। এভাবে মানুষ বড় বড় পাবলিক কোম্পানির সিইও পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো যে, মিউজিক এবং গণিত তার জীবনে সঠিক অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি সংখ্যা এবং গাণিতিক বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেছেন। এভাবে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেতেন।
তার স্কুলের প্রফেসর ছিলেন একজন মিউজিসিয়ান এবং তার কাছ থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্যান্য সদস্যের সাথে আপনার মিথষ্ক্রিয়া কেমন হচ্ছে এবং সম্পর্কে কেমন তা ভেবে দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
সফলতার মানে বলতে তিনি কি বোঝেন এ প্রশ্নের জবাবে বলেন যে, আমি একটি বড় কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করব যেখানে বহু মানুষ একসাথে কাজ করবে এবং সবাই অধিক অর্থ উপার্জন করবে। উপার্জনের পাশাপাশি তারা সবাই সমৃদ্ধ হবে এবং জীবনে বড় কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখবে।
তিনি শেয়ার হোল্ডিং এর পার্সপেক্টিভ থেকে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তবে ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতাকে তিনি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। পার্সোনাল লাইফে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একজন মানুষ কতটা সুখী সেটার উপর ডিপেন্ড করে সফলতার বিষয়টি।
পরিবার বন্ধুসহ যাদেরকে আমি কেয়ার করি তারা ভালো আছে কিনা সেটি এখানে দেখার বিষয়। ব্যবসার সফল হওয়ার তিনি কিছু কৌশলের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি মনে করেন যে, মানুষের কাছে যদি চমৎকার পরিকল্পনা থাকে এবং আশেপাশে ইন্টেলিজেন্ট পার্টনার বা বন্ধু থাকলে এবং লক্ষ্য যদি সঠিক থাকে তাহলে সফলতা অর্জনের পথে কোন বাধা আসবে না।
মানুষ কোথায় ব্যর্থ হয়ে যায় এ প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন যে, বাজে পরিকল্পনা হলে এবং অনুমানের উপর ভিত্তি করে কাজ করলে সফল হওয়া যায় না। আপনার কোম্পানিতে এরকম চমৎকার মানুষ থাকতে হবে যারা সুপার স্মার্ট।
তিনি এমন সাংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী যেখানে সবাই নিরাপদে নিজের মতামত তুলে ধরতে পারবে। ভিন্ন পারস্পেক্টিভ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কেউ যেন সংকোচ অনুভব না করে। স্বাধীনভাবে সবার কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। একটি বিষয়কে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার বা ব্যাখ্যা করার সুযোগ থাকলে চমৎকার সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।