আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরের মায়ো হাসপাতালের সাবেক নিরাপত্তা প্রহরী মুহাম্মদ ওয়াহিদ ভাট। তিনিই ওই হাসপাতালে দু’সপ্তাহ আগে নিজে ডাক্তার সেজে অপারেশন করেন শামীমা বেগমের।
হাসপাতালের প্রশাসনিক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, অপারেশন থিয়েটারে কিভাবে কোন মাত্রার অপারেশন করেছেন মুহাম্মদ ওয়াহিদ ভাট তা পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ওই সময় দক্ষতাসম্পন্ন একজন টেকনিশিয়ান উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তানে সরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হয় রোগীকেই। অনেক সময় সেখানে চিকিৎসা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় এক বিশৃংখল পরিস্থিতি। এখানে অপারেশনের জন্য ওয়াহিদ ভাটকে অর্থ পরিশোধ করেছে শামীমা বেগমের পরিবার।
অপারেশনের পর ওয়াহিদ ওই রোগীর ক্ষতে ড্রেসিং করতে দু’বার গিয়েছিলেন তাদের বাড়ি। যখন ক্ষত থেকে রক্তপাত হচ্ছিল এবং শামীমা বেগমের অবস্থা শোচনীয় অবস্থায় চলে গেল, তখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে সময়ই ঘটনা ফাঁস হয় যে, আসলে অপারেশনের নামে কি হয়েছে।
লাহোর পুলিশের মুখপাত্র আলি সফদার বলেছেন, অভিযুক্ত প্রহরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। এখন তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।