জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের কঠোরতম আইনগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র ভেদান্ত প্যাটেল এমন মন্তব্য করেছেন।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
ভেদান্ত প্যাটেল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সবশেষ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ ধাপ পিছিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২তম। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।’
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এবং সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বিষয়ে প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়। একইসঙ্গে দৈনিক প্রথম আলোর অফিসে একটি গ্রুপের হট্টগোলের বিষয়টি নিয়েও জানতে চাওয়া হয়।
ভেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের কঠোরতম আইনগুলোর একটি হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি।
‘মুক্ত গণমাধ্যম ও সচেতন নাগরিক যে কোনো দেশ এবং তার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন কন্টেন্টের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রয়েছে তার প্রভাব নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের কোনো সদস্যকে তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য হুমকি, হয়রানি, শারীরিকভাবে আক্রমণ বা গ্রেপ্তার করা উচিত নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং সারাবিশ্বে অবাধ ও নিরপেক্ষ নীতিকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা কোনো দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছি না আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক চায়। আর সে কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সংবাদপত্রের লোকজনসহ মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য উপাদান এবং নির্বাচনের বছরে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।