জুমবাংলা ডেস্ক: তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯২টি। অর্থাৎ সেই হিসেবে প্রতিটি শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ আবেদন পড়েছে ১৫০ এর বেশি। এটি এযাবৎকালের রেকর্ড আবেদন যা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সূত্রে জানা গেছে।
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে শুক্রবার। এর আগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন নেয়া শুরু ৪ এপ্রিল থেকে চলে ৩০ এপ্রিল রাত ১২ টা পর্যন্ত। তবে প্রার্থীরা আগামী ৩ মে পর্যন্ত আবেদনের টাকা জমা দিতে পারবেন।
একাধিক নিয়োগ প্রত্যাশী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অনেক আবেদনকারী আছে যে একটি চাকরির জন্য লাখ টাকার বেশি টাকা খরচ করে আবেদন করেছে। এর আগে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, একটি পদের জন্য একজন প্রার্থী ৫০০ এর অধিক আবেদনও করেছেন।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, আবেদনের মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে পেরেছি এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ। চলতি মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া করতে ২৫-২৬ দিনের মতো সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া করে প্রার্থীদের শিক্ষক শূন্যপদগুলোতে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিজন প্রার্থী একাধিক আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন। আর মে মাসেই ৫৪ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ৮১ লাখ আবেদন আগে কোন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জমা পড়েনি। এটা একটা রেকর্ড বলা যায়।
আবেদন সংখ্যা কেন বেশি জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, ২০১৮ সালের ১২ জুন এমপিও নীতিমালা জারির আগে যারা সনদ অর্জন করা প্রার্থীরা যাদের বয়স ৩৫ এর বেশি হয়ে গেছে তারাও আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নিবন্ধন সনদধারী ও ইনডেক্সধারী শিক্ষকরাও নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পেরেছেন। তাই এতো আবেদন জমা পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ১০১টি শূন্যপদ। এগুলোর মধ্যে ২৬ হাজার ৮৩৮টি এমপিও পদ। মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৯৬টি। এর মধ্যে ১৯ হাজার ১৫৪টি এমপিও পদ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।