জুমবাংলা ডেস্ক: দীর্ঘ ১২ বছর পর স্বামীর ঠিকানার খোঁজ পেয়ে সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক নারী। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রামসিং বাইশের পাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করা নারী লায়লা বেগম জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ধামর গ্রামে। পিতা নজরুল ইসলাম। রাজারহাট উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রামসিং বাইশের পাড় এলাকার মৃত নরেন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে শ্রী পরেশ চন্দ্র মন্ডলের সাথে পরিচয় হয় তার। সেসময় তাকে বলেন, সে ব্র্যাকে চাকরি করেন। তাদের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুজনের ভিন্ন ধর্ম। পরে পরেশ হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কোর্ট এফিড ডেফিটেরর মাধ্যমে তার নাম হয় মো. আব্দুল হামিদ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর ২০০৩ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর একটি ছেলে সন্তান এবং ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর একটি কন্যা সন্তান হয়। পরেশ চন্দ্র মন্ডল ওরফে আব্দুল হামিদ ২০০৮ সালে বদলি জনিত কথা বলে কুমিল্লা চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল হামিদ এর কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। সন্তানদের তিনি চরম বিপাকে পড়েন। স্বামীর ফিরে না আসায় গাজীপুর সদর উপজেলার রাতুল গলীর নুর ভিলায় পিতা-মাতার কাছে আশ্রয় নেন তিনি। ব্যবসায়িক কাজের জন্য তার বাবা-মা সেখানেই থাকেন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে দুটি সন্তানকে নিয়ে তিনি এখানেই রয়েছেন। কয়েক মাস আগে তার পিতা নজরুল ইসলাম মারা যান। দুটি সন্তান ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে তাকে। স্বামী বদলির সময় কাগজপত্র নিয়ে চলে যাওয়ায়, স্বামীর স্থায়ী ঠিকানার খোঁজ পাননি তিনি। আকস্মিকভাবে তার স্বামী পরেশ চন্দ্র মন্ডল ওরফে আব্দুল হামিদের এইচএসসি পাশের মার্কশীট খুঁজে পান লায়লা বেগম। এরই সূত্র ধরে গাজীপুর থেকে সন্তানদের নিয়ে সোমবার সকালে পরেশ চন্দ্র মন্ডল ওরফে আব্দুল হামিদের বাড়িতে আসেন। তাদের পরিচয় পাওয়ার পরপরই স্বামীর পরিবারের লোকজন বাড়িতে তালা লাগিয়ে সটকে পড়েন।