জুমবাংলা ডেস্ক : সাতক্ষীরায় ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে স্বীকৃতি এবং নিপীড়িত নারীকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছেন ধর্ষক। সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) তাদের বিয়ে হয়। পরে আসামি জামিন পেয়ে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
ধর্ষক সদর উপজেলার সয়ঘরিয়া গামের মৃত মোকছেদ কবিরাজের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন।
আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নারী। ২২ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামির জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির সময় বাদীপক্ষ থেকে বলা হয়, নিপীড়িত নারীকে বিয়ে, সন্তানকে স্বীকৃতি এবং নগদ এক লাখ টাকা দেওয়া হলে আসামির জামিনে তাদের আপত্তি নেই। একপর্যায়ে আসামি নয়ন শর্ত মেনে এক লাখ টাকা দেনমোহরে এবং বাদিনীকে নগদ আরও এক লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে করেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান আসামিকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামি স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।