আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যে অভিবাসন ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার নতুন ভিসা ও অভিবাসন নীতি ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (১২ মে) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ”পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের ‘ওপেন বর্ডার এক্সপেরিমেন্ট’-এর অবসান ঘটানো হবে এবং ব্রিটেনের সীমান্তের ওপর ‘আবার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনা হবে’, যা এক সময়ের প্রখ্যাত ব্রেক্সিট স্লোগানের প্রতিধ্বনি।”
স্টারমার বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম অভিবাসনে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনবো এবং তা কমাবো। আজ সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
নতুন নীতির আওতায়, যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হলে এখন থেকে অভিবাসীদের ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঁচ বছরের পর স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের জুন মাসে অভিবাসী সংখ্যা রেকর্ড ৯০৬,০০০-এ পৌঁছেছিল এবং গত বছর তা ছিল ৭২৮,০০০।
মূল প্রস্তাবগুলির মধ্যে রয়েছে বসতি স্থাপন এবং নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের প্রয়োজনীয়তা পাঁচ বছর থেকে দশ বছর পর্যন্ত বাড়ানো। প্রাপ্তবয়স্কদের উপর নির্ভরশীলদের জন্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা কঠোর করা। এবং কাজ, পরিবার ও লেখাপড়ার ভিসার নিয়মগুলি পুনর্গঠন করা।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানান, নতুন নীতি ‘একটি মৌলিক সংস্কার প্যাকেজ’ যা মূলত নিম্ন-দক্ষ অভিবাসী ও বিদেশি অপরাধীদের প্রবেশে বাধা হবে। চলতি বছরে ৫০ হাজার নিম্ন-দক্ষ শ্রমিকের ভিসা কমানো হবে এবং দক্ষ শ্রমিক ভিসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিকে বাধ্যতামূলক করা হবে। তবে, উচ্চ-দক্ষ পেশাজীবী যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী ও এআই বিশেষজ্ঞদের জন্য দ্রুত ভিসা সুবিধা দেওয়া হবে।
২০২৩ সালে ছোট নৌকায় ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছে ৩৬,৮০০ জন। এ সময় ৮৪ জনের মৃত্যু ঘটে, যার মধ্যে অন্তত ১৪ জন শিশু ছিল। সরকার এই ধরনের অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
স্টারমার সরকার দাবি করেছে, গত জুলাই থেকে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ২৪,০০০ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সূত্র: সামা টিভি
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ট্রোলের শিকার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।