সজীব ওয়াজেদ জয়: আমার নানা বঙ্গবন্ধুর সাথে খুব বেশি স্মৃতি আমার মনে নেই। তবে একটা মজার ঘটনা এখনও আমার মনে পড়ে। একদিন আমি অনেক জিদ ধরলাম নানার কাছে, তাঁর পাইপে আমি একবার হলেও ফুঁ দিতে চাই। আমার নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে নানাও এক সময় বাধ্য হলেন। এরপর যা ঘটলো তার জন্য আমি আসলে ঐ ছোট বয়সে প্রস্তুত ছিলাম না। ফুঁ দেওয়ার সাথে সাথেই অনবরত কাশি দিতেই থাকলাম, যেন নিশ্বাস নিতে গেলেই কাশি চলে আসছে। আর সেই অবস্থা দেখে নানী প্রচন্ড রেগে গেলেন দুই জনের উপর! তিনি আরও রেগে গেলেন অন্যদিকে নানার সেই চিরাচরিত মুখভরা হাসি দেখে, সে হাসি যেন তার থামছেই না।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমাদের হাসিখুশি দিনগুলো খুব নির্মমভাবে শেষ হয়ে যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে। তার পর থেকেই আপনারা সবাই জানেন, আমাদের পরিবারের বেঁচে যাওয়া অল্প কয়েকজন সদস্য বিশেষ করে আমার মা, বাবা আর খালা জীবনের সাথে যুদ্ধ করেছেন দীর্ঘ সময়।
এরপর বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসায় আমার নানা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সেই সংগ্রাম পরিচালনার দায়িত্বভার চলে আসে আমার মায়ের কাঁধে। পরিবারের সবাই আমাদের যায়গা থেকে আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাহায্য করে যাচ্ছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে।
বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মদিনে বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য তাঁর ভাবনাগুলোর কথাই বার বার মনে পড়ছে । ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবোই।
শুভ জন্মদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাঙালির হৃদয়ে আপনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল।
জয় বাংলা,
জয় বঙ্গবন্ধু ।
সজীব ওয়াজেদ জয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র
লেখাটি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।