জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ দিন প্রেম ভালোবাসা ও লুকিয়ে বিয়ের পর ছেলের বড় ভাইয়ের বাঁধার কারণে স্বামীর ঘর থেকে বঞ্চিত এক নারী। অভিযোগ পাওয়া গেছে মেয়ে আওয়ামী পরিবারের হওয়ার কারণেই এই বাঁধা। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। ছেলে আদালত থেকে স্থায়ী জামিন নিয়েছে। অসহায় মেয়েটি নিরাপত্তাহীনতার কারণে সম্প্রতি থানায় সাধারণ ডায়েরী পর্যন্ত করেছেন। নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ১ নং ব্রহ্মপুর ইউনিয়নে।
ভুক্তভোগী তামান্না খাতুন ও ইলিয়াস আলীর বিয়ে হয় ২০১৭ সালের মে মাসে। সে সময় লেখাপড়ার সুবাদে দুজনই রাজশাহীতে ছিলেন। তামান্না খাতুন শাঁখারীপাড়া গ্রামের মৃত মোজম্মেল হকের মেয়ে এবং ছাতারভাগ গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ইলিয়াস আলী।
তামান্না খাতুন আওয়ামী পরিবারের হওয়ায় ইলিয়াসের বড় ভাই জামাত নেতা জিয়াউল হক জিয়া তাকে গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ভূক্তভুগী তামান্না খাতুন বলেন, আমার বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতো। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চাই কিন্তু আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে।
ইলিয়াসের ভাই জিয়া ফোনে জানান, ‘এই বিয়ে ছিল চুক্তির। আদালতে মামলা চলমান আছে আর আমার ভাই তামান্না কে ডির্ভোস দিয়েছে।’ তবে চুক্তি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি জিয়া। এ ব্যাপারে ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এই অভিযোগে নাটোরে ইলিয়াস আলী, ইলিয়াসের পিতা ইউনুস আলী ও বড় ভাই জিয়াউল হকের নামে মামলা করেন। এরপর মামলার প্রথম শুনানিতেই আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান ইলিয়াস।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজশাহীর মতিহার থানা থেকে ইলিয়াস কে আটক করা হয় জামাত শিবিরের কর্মকান্ডে সম্পৃকতার জন্য। এছাড়া ২০১৬ সালে মীর কাশেমের ফাঁসির পর গায়েবানা জানাযার জন্য মামলা হয় ইলিয়াসের বড় ভাই জিয়াউল হক জিয়া ও পিতা ইউনুস আলীর নামে। সেই মামলাতে দুই মাস পরে জামিন মেলে তাদের।সূত্র: ডিবিসিনিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।