জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলায় বিয়ের শাড়ি ও অন্যান্য প্রসাধনী কনে পক্ষের পছন্দ না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বরযাত্রীদের পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হামলায় বরসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সাতজন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (১২ জুন) বিকাল ৪টার দিকে বিবাহের মধ্যাহ্নভোজের পর সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শের-ই বাংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ভণ্ডুল হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।
হামলায় আহতরা হলেন- বর মো.সজিব, সোহেল, জাহিদ, অন্তু, তারেক ময়না ও হালিমা বেগম।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরকালি গ্রামের বাসিন্দা মো.আবুর ছেলে সজিব। তিনি ভেদুরিয়া ইউনিয়নের শের-ই বাংলা গ্রামের বাসিন্দা মো.সাহাবুদ্দিনের মেয়ে রিফা আক্তারকে বিয়ে করেন। উভয় পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার দুপুরে কনে আনতে যান প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী। বরপক্ষ কনের জন্য নেওয়া শাড়ি ও অন্যান্য প্রসাধনী কনে পক্ষের পছন্দ হয়নি, এতে দুই পক্ষ প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরবর্তীতে মারামারিতে জড়ান।
বর সজিব অভিযোগ করে বলেন, গত এক বছর আগে আমাদের বিবাহ সম্পুর্ণ হয়। শুক্রবার দুপুরে আমরা গিয়েছিলাম নববধু আনতে। মধ্যাহ্নভোজের শেষে কনের জন্য আমাদের নেওয়া শাড়িসহ অন্যান্য প্রসাধনী কনে পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তা কনে পক্ষের লোকজনের পছন্দ হয়নি। পরে কনে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমিসহ আমাদের ১০ জন আহত হয়েছি। আহতদের মধ্যে গুরুতর ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। এছাড়া কনের জন্য নেওয়া ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের নাকফুল ও আমার পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। এ ঘটনার বিচার চাই।
ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো.হাচনাইন পারভেজ বলেন,বর-কনে কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।