পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী উপজেলার আউরিয়া গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মেয়ে। সে আকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে সদ্য কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় নেছারাবাদ উপজেলার স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের ৬নং আউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাস আগে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। পাত্রপক্ষের কাছে ঐশীর টপস ও টি শার্ট পরিহিত একাধিক ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছেলে পক্ষের কাছে পাঠালে পাত্রপক্ষ ওই বিয়ে ভেঙে দেয়। সেই কারণে তিনি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঐশীর বাবা মো. জাহিদ হোসেন জানান, গত এক মাস আগে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের তারিখও পড়েছে। ছেলে পক্ষের কাছে একটি টপস ও টি শার্ট পরিহিত ছবি কেউ একজন পাঠিয়েছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। এটা আমার মেয়ে সহ্য করতে পারেনি। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার জানান, হাসপাতালে আসার পূর্বেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ থানায় নিয়ে গেছেন।
নেছারাবাদ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার জানান, সংবাদ পেয়ে মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনা সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।