জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যে এক কিশোরীর ৬ মাসের অন্ত:সত্বা প্রমাণ পাওয়ায় ছেড়ে আসা প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। কিশোরীর পিতা শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর বাঘা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। ১৫ দিন আগে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়েছে এক ব্যক্তির সঙ্গে। বিয়ের আগে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো সোহেল রানা নামের এক যুবকের সঙ্গে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার তুলশীপুর গ্রামের এক কিশোরীর (১৮) সঙ্গে গত ১৫ জলাই বিয়ে হয় একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। গেল কোরবানির ঈদের পরদিন নতুন জামাই তার স্ত্রীকে সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়ী দাওয়াত খেতে আসে। সেখানেই জামাই তার শ্বশুরের পরিবারকে জানান তার স্ত্রী অন্ত:সত্ত্বা।
এ খবর শুনে শঙ্কিত হয়ে পড়ে মেয়ের পরিবার। পরদিন মেয়ের মা তার কন্যাকে নিয়ে উপজেলা সদরে অবস্থিত সেবা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারেন তার মেয়ে ৬ মাসের অন্ত:সত্তা। নিরুপায় হয়ে মেয়ের সঙ্গে বাবা-মা কথা বলে জানতে পারেন, বিয়ের আগে একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেলের (২৭) সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার সঙ্গেই দৈহিক মিলন হয়। তবে ঐ কিশোরীর অভিযোগ, বিষয়টি কাউকে জানালে তার বাবাকে খুন করার হুমকি দেয় সোহেল। এ কারণে বিষয়টি গোপন রাখা হয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার বাঘা থানা উপ-পরিদর্শক মোকারম হোসেন জানান, মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে মামলার পর থেকে আসামী সোহেল লাপাত্তা রয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করে ভিকটিমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শনিবার সকালে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।