জুমবাংলা ডেস্ক : প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ফেলে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে প্রেমিককে বিয়ে করার দুই মাস না যেতেই প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হলেন নার্গিসা বেগম মল্লিক (২৯)। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার বাংলাদেশি স্বামী জুয়েল সরকারকেও (২৪)।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ভোরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দাঁদপুর গ্রামে ইরান সরকারের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লাপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন ইমতিয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৯ জুলাই নার্গিসার ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমান বাদী হয়ে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়েছে, ভারতীয় স্বামী মীর ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ না করে জুয়েল সরকারকে বিয়ে করেছেন নার্গিসা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়সূত্রে প্রেম হয় নার্গিসা ও জুয়েলের। এরপর স্বামী ফজলুর রহমান ও আট বছরের ছেলে জিসান মীরকে ছেড়ে ভারত থেকে পালিয়ে এসে উল্লাপাড়ার দাদপুর গ্রামের ইরান সরকারের ছেলে জুয়েল সরকারকে বিয়ে করেন নার্গিসা। এখানে এসে তিনি নিজের নাম নাইসা মল্লিক উল্লেখ করেন। গত ১ জুন জুয়েল সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার দু-দিন পরই ভারতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে নার্গিসা বেগমের স্বামী ও সন্তান রয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ হয়।
ভারতীয় সংবাদে বলা হয়, ১২ বছর আগে বাঁকুড়া জেলার ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় দানগড় ধারেশা মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা নার্গিসা বেগম মল্লিকের। মীর জিসান নামে তাদের আট বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। হঠাৎ নিখোঁজ হন ওই গৃহবধূ। এ মর্মে দমদুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন গৃহবধূর স্বামী ফজলুর রহমান।
গত ২২ জুন স্ত্রীকে ফিরে পেতে ভারত থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ছুটে আসেন ফজলুর রহমান। সন্তানের জন্যই স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি। কিন্তু স্ত্রী নার্গিসা তাকে মদ্যপ ও অত্যাচারী আখ্যা দিয়ে ডিভোর্সের কাগজপত্র দেখিয়ে বিদায় করে দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।