আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবী থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন একটি দেশ উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে বিদেশী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ খবর বহির্বিশ্বে খুব একটা আসেনা। তবে সম্প্রতি উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত একটি অঞ্চল এবার ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে তাই দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় এবার অনেক কম শস্য উৎপাদন হয়েছে। তবে এরপরেও বিশ্বের কোন দেশ থেকে ত্রান সহায়তা নিতে রাজি নয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
দেশটির মূল কৃষিস্থল হল দক্ষিণ প্রদেশের উত্তর-দক্ষিণ হংঘাই এবং দক্ষিণ পিয়ংইয়ং। কিন্তু, খরার প্রকোপে এবারে খুব কম পরিমাণ শস্য উৎপাদন হয়েছে। জিওগ্ল্যাম জানিয়েছে, বৃষ্টির ঘাটতি এবং গ্রীষ্মে সেচের জল ঠিকমত ব্যবহার না করার ফলেই এই দুরাবস্থা। এই খাদ্য সঙ্কট সহজে কাটবে না বলেও জানায় এই সংস্থা। তবে উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চীনের দেয়া খাদ্য ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ গ্রহণ করেছে কিম প্রশাসন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার টন চাল গ্রহণ করতে অস্বীকার করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ১৯৯০ সালে খরার প্রকোপে অসংখ্য লোকের মৃত্যু হয়েছিল উত্তর কোরিয়ায়। জাতিসংঘ গত মে মাসে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দাদের রেশন ৫৫০গ্রাম থেকে কমিয়ে ৩০০ গ্রামে নামিয়ে আনা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরেই টাইফুন লিংলিং আঘাত হানে উত্তর কোরিয়ায়। এতে ফসলি জমি পানির নিচে চলে যায়। আর এর ফলেই খরার প্রকোপ আরও বেড়েছে। তখনই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের কৃষি এবং খাদ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। ওই মাসেই দেশজুড়ে সোয়াইন ফ্লুর প্রকোপ বেড়ে যায় দেশটিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।