জুমবাংলা ডেস্ক: মানিকগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে বুধবার স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। খবর ইউএনবি’র।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামি হযরত আলী বেপারীর (৩৫) অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ফাঁড়ীরচর গ্রামের নূরুল হকের ছেলে হযরত আলী বেপারীর সাথে ২০০০ সালে একই গ্রামের মামলার বাদী মোন্নাফ বেপারীর মেয়ে রোকসানা আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্মের পর রোকসানাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা শুরু করে হযরত আলী।
২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হযরত আলী বেপারী রোকসানার বাবার বাড়িতে এসে যৌতুকের এক লাখ টাকা দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় রোকসানার বাবা মোন্নাফ বেপারীর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। ওই দিনই রোকসানা তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। একইদিন রাতেই হযরত আলী রোকসানাকে হত্যা করে রাত ১১টার দিকে লাশ বারান্দার আড়ার সাথে ঝুলানোর সময় লোকজন দেখে ফেলে।
পরেরদিন মানিকগঞ্জ সদর থানায় মোন্নাফ বেপারী বাদী হয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৯ সালে ২ সেপ্টেম্বর হযরত আলী বেপারীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি হযরত আলী আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
আদালতে মোট ৯ জনের সাক্ষীগ্রহণ করা হয়। হযরত আলীর বিরুদ্ধে রোকসানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।