সাহেনাজ বেগম সানু (৪০) নামে আটক হওয়া একজন নারী ইয়াবা কারবারির মোবাইলের কললিস্টে ইয়াবা ডিলার নামে নিবন্ধন করা মোবাইল ব্যবহারকারীর নাম ভেসে আসে। অর্থাৎ মোবাইলের নির্দিষ্ট একটি নম্বরে কল সেন্ড করলেই ভেসে আসে মোবাইল ব্যবহারকারীর নাম ‘ইয়াবা ডিলার।’ এমন ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশও হতবাক হয়ে পড়েছেন।
অবশ্য পুলিশ ইতিমধ্যে সেই ইয়াবা ডিলারের নামধাম সবই উদ্ধার করেছে। যেকোনো সময় সেই ইয়াবা ডিলারকেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান কবির।
পুলিশের চলমান ইয়াবা দমন অভিযানে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আটক করা হয় সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হাজী আমীর আলী পেট্রল পাম্পের উত্তর পার্শ্বের দুধু মিয়ার কন্যা সাহেনাজ বেগম সানুকে (৪০)। সানুর বিয়ে হয় টেকনাফের নাজির পাড়ার বাসিন্দা ইয়াবা কারবারি ইউসুফের সঙ্গে।
পরবর্তীতে ইউসুফসহ ঝিলংজা উত্তর হাজীপাড়ায় পৈত্রিক ভিটায় অবস্থান নেয় স্বামী-স্ত্রী সানু ও ইউসুফ। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ইয়াবা কারবারি। স্বামী বর্তমানে ঢাকার কারাগারে আটক রয়েছেন। গত কিছুদিন আগে এক চালান নিয়ে আটক হয়েছিলেন ঢাকায়। স্ত্রী সানুও বিভিন্ন সময় ধরা পড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কারাগারে ছিলেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার দারোগা তৈমুর ও দেলোয়ার বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে নারী কারবারি সানুকে নগদ ৪৮ হাজার টাকা, ইয়াবা এবং ইয়াবা কারবারের একটি ডায়েরিসহ আটক করেন। সেই ডায়েরিতেই উল্লেখ রয়েছে, একজন হাজী সাহেবের সঙ্গে ইয়াবা লেনদেনের হিসাব।
ডায়েরিতে ১৫/২০ জনের মোবাইল নম্বর রয়েছে। রয়েছে ক্যুরিয়ারে মাল পাঠানোর হিসাব। রয়েছে হাজী সাহেবসহ ইয়াবার ভাগাভাগির হিসাবও। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক লাখ টাকার সিাব রয়েছে। সানুর মোবাইলে একজনের নম্বরে সেন্ড বাটম চাপ দিলে মোবাইলে ভেসে উঠে নম্বরটি ইয়াবা ডিলারের। পুলিশ বৃহস্পতিবারই নারী কারবারি সানুকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।