জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীতে দুই ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, কলাবাগানের এরশাদ আনোয়ার (৫৫) ও ডেমরার হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫)। এদের মধ্যে হাবিবুর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এবং আনোয়ার হোসেনের গলায় ফাঁসে মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
রাজধানীর কলাবাগান থানার কাঁঠালবাগান এলাকার একটি বাসার বাথরুমের দরজা ভেঙে এরশাদ আনোয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ছোট ভাই মাহমুদ আনোয়ার জানান, তারা কলাবাগান কাঁঠালবাগানের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ উপজেলায়। এরশাদ আনোয়ার অবিবাহিত ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কারো সঙ্গে তেমন মিশতেন না। সব সময় বাসায় একা থাকতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি বাথরুমে যান। এরপর অনেক সময় ধরে তাকে আর বের হতে না দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়। তাকে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি।
পরে বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায়। দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে ডেমরা কোনাপাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়। তিনি পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল সদর উপজেলার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
হাবিবুর রহমানের কোনাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। হাবিবের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন জানান, হাবিবুর ডেমরা কোনাপাড়া সিটি গ্রুপের ইলেকক্ট্রিশিয়ান। সন্ধ্যার দিকে সিটি গ্রুপের মসজিদে ইলেক্ট্রিকের কাজ করছিলেন তিনি। বাঁশের মইয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে হাবিব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।