পীর হাবিবুর রহমান : সদ্য দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আটক বহুল বিতর্কিত লোকমানের এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। এ ছবিতে লোকমানের কোন অপরাধ আমি দেখি না। লোকমান কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেহরক্ষী ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। মোসাদ্দেক আলী ফালুর কর্মী ছিলেন। মোসাদ্দেক আলী ফালু জাতির পিতাকে কটাক্ষ করে কখনো বক্তব্য দেননি। খালেদা জিয়ার ডান হাত হলেও সব দল মতের সাথে সৌহার্দ্যের সম্পর্ক রাখতেন। দু’জনের সাথে কখনো আমার দেখা হয়নি।
ফালু দেশান্তরী হলেও লোকমানকে হতে হয়নি। লোকমান ছাতাটা সরিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মাথা থেকে সরিয়ে আমাদের পরম শ্রদ্ধার মানুষ অজাতশত্রু মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্রের মাথায় ধরেছেন। এটা সুবিধাবাদী নীতিহীনদের নষ্টযুগে আমি অপরাধ মনে করি না। লোকমানের অপরাধ বেআইনিভাবে মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন।
যে লোকমান বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছেন, যে লোকমান খালেদা জিয়ার কর্মচারী ও ফালুর কর্মী হয়েও আওয়ামী লীগের ১০ বছরে দাপটের সাথে মোহামেডানকে শেষ করে বাণিজ্য করেছে রমরমা, সেই লোকমানকে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পৃষ্টপোষকতা দিয়েছেন তারা কি বড় অপরাধী নয়? বিএনপি দমনের জমানায় কারা লোকমানকে এতো শক্তি ও সুযোগ দিলেন?
শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আত্মস্বীকৃত খুনির পরিবারের আরেক সদস্য কিভাবে মোহামেডান ক্লাবেই নয়, লোকমানের হাত ধরে আজ বিসিবির পরিচালক? স্বাধীন দেশে বাড়িতে পাকিস্তানের পতাকা উড়ানো রাজাকারপুত্র হকি ফেডারেশনের নেতা? মুজিব কন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বাস আস্থার সাথে কারা ব্যক্তি স্বার্থে বেইমানিটা করছেন এভাবে নানাদিকে? এসব অপরাধীদেরও ঠিক করা দরকার।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।