নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে দুটি দুর্গা মন্দিরে আপ্যায়ন না করায় মন্দির কমিটির সদস্যদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হারুন ফকির উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের অনিল দাসের বাড়ি দুর্গা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন চন্দ্র দাস জানান, সোমবার রাতে তার চাচী মারা যান। এ সময় মন্দিরে তার বড় ভাই অনিল চন্দ্র দাসসহ (৮০) কয়েকজন ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। মন্দিরে আসার পর তাকে বসতে দিতে দেরি হয়। তাছাড়া তাকে দাওয়াত করা হয়নি বলে অনিল চন্দ্র দাসকে ঘার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন লোকজন নিয়ে বেরিয়ে যান।
অপরদিকে, পাশের সোনাবো কালী বাড়ি বটতলা মন্দিরের সভাপতি বিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, হারুন ফকির তার লোকজন নিয়ে মন্দিরে এসে আয়োজকদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হারুন ফকির পূজারীদের গালিগালাজের সময় মণ্ডপের আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় এক অটোচালকের মুঠোফোনও ভেঙ্গে দেন হারুন ফকিরের সাথে থাকা লোকজন।
অভিযুক্ত হারুন ফকির সাংবাদিকদের জানান, মদ্যপ অবস্থায় মন্দিরের পাশেই কতিপয় যুবক তার ব্যক্তিগত গাড়ীর লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে ফেলায় চালকের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। আয়োজকদের সাথেই আমার চলাফেরা। দাওয়াত দিলেও এবং না দিলেও আমরা তাদের উৎসবে যাই। এখন ঘটনাটিকে পুঁজি করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিভিন্ন ধরনের কথা রটাচ্ছে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা মোস্তারী জানান, দাওয়াত দেয়া নিয়ে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে তার অবসানও হয়েছে। এ নিয়ে কোন সমস্যা নেই। শান্তিপূর্ণভাবেই ওই মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। তারপরও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।