জুমবাংলা ডেস্ক : নরসিংদীতে বখাটেদের শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিল দশম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রী। তবে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকি নিয়ে শ্লীলতাহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে ওই মাদরাসা ছাত্রী।
গত মঙ্গলবার বিকেলে নরসিংদীর সদর উপজেলার মাধবদী থানার দক্ষিণ চরভাসানিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী গোপালদী দাখিল মাদরাসায় পড়ে।
এ ঘটনায় মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর আসামি পক্ষের অব্যাহত হুমকিতে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
প্রায় কয়েক মাস ধরে একই এলাকার জালাল মিয়ার ছেলে মোক্তার ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাবসহ নানা হুমকি দিয়ে আসলেও ভয়ে কারো কাছে নালিশও করতে পারছিল না। গত মঙ্গলবার বিকালে সে আড়াইহাজার থানার গোপালদী থেকে প্রাইভেট পড়ে নৌকায় করে চরভাসানিয়া ঘাটে এসে নামলে মোক্তার (২৫) সিফাত (২৬), ইব্রাহীম (২৮) তার পথরোধ করে। এক পর্যায়ে বখাটেরা তাকে জোর করে নৌকায় তুলে নেয়।
পরে সে সম্ভ্রম বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পড়ে। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার মা কহিনুর বেগম। অভিযোগের পর থেকে মোক্তার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চরভাসানিয়ায় ঘটনাস্থল গিয়ে পরিদর্শন করেন থানার এসআই মনির হোসেন।
তিনি জানান তারা ওই এলাকায় থাকাকালেই মোক্তারের দলবলেরা ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে পাকড়াও করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রাণের ভয়ে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যের আশ্রয়ে রয়েছেন।
মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।