জুমবাংলা ডেস্ক : যৌতুকের দাবিতে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন জাহিদুল ইসলাম। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু হঠাৎ তার সুখের ঘরে ঝড় নেমে এসেছে। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে তার সদ্য ভূমিষ্ঠ এক কন্যা শিশুকে একদিনের মাথায় তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সুখী খাতুন। একদিন বয়সের ওই কন্যা শিশুটির ঠাঁই এখন বাবার কাছে। সে এখন বড় হবে বাবার স্নেহে, সৎ মায়ের আদরে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের আলিকিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে সুখী খাতুনের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই জাহিদুল যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে একপর্যায়ে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন জাহিদুল। বিচ্ছেদের কিছুদিন পর একই উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জাহিদুল। বিয়ের পর থেকে প্রথম স্ত্রীর গর্ভের সন্তানের কোনো খোঁজ রাখেননি তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সুখীর কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। জন্মের মাত্র একদিনের মাথায় সুখীর মা-বাবা ওই নবজাতককে তার কাছ থেকে নিয়ে জাহিদুলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
সুখীর মা বলেন, এ বাচ্চা আমাদের না। এই বাচ্চার কারণে আমার মেয়ের (সুখী) বিয়ে হবে না। তাই আমার মেয়ে যাতে ওই সন্তানের মায়ায় না পড়ে সেজন্য যার (জাহিদুল) সন্তান তাকে ফেরত দিয়ে গেলাম।
এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল যৌতুকের কারণে প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। তারপর কোনো দোষ ছাড়াই তাকে তালাক দিয়েছে। এখন সুখীর পরিবারও রাগে-অভিমানে একদিনের শিশুটিকে এখানে রেখে গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।