আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুসলিম দেশগুলোকে জোট গঠনের আহ্বান জানিয়ে সৌদি আরবের ক্ষোভের শিকার হয়েছে পাকিস্তান।
সৈয়দ জায়েদ জামাদ হামিদ নামের এক পাকিস্তানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদকে চ্যালেঞ্জ করে পাকিস্তান নেতৃত্বাধীন মুসলিম দেশের জোট গঠনের আহ্বান জানান।
চাঞ্চল্যকর সেই পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ধারণা করা হয়েছিল, ওই পোস্টদাতা পাকিস্তান সরকার কিংবা মিলিটারির সঙ্গে জড়িত। যদিও রিয়াদে পাকিস্তান দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের এমন কেউ নন এবং তিনি রিয়াদ সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছেন।
এদিকে সৌদি আরব ৫৭টি মুসলিম দেশের জোট ওআইসি’র নেতৃত্ব দিচ্ছে। সংস্থাটি মুসলিম বিশ্বের নানা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও সৌদি আরবের সম্পর্কে খরা দেখা দিয়েছে এবং সৌদির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের মিত্রতা দেখা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টটি মূলত রিয়াদের কূটনৈতিক অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি করতে করা হয়েছিল।
তবে ওই পাকিস্তানির পোস্ট আমলে নিয়েছে সৌদি আরব। ওআইসির বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মুহম্মদ কুরেশিসহ দেশটির নেতাদের সমালোচনা করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছে, রিয়াদ ও ওআইসি কাশ্মীরের বিষয়ে নিরপেক্ষ রয়েছে। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ইসলামি অনেক দেশে সৌদির ‘বিতর্কিত’ অবস্থানের কারণে তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোকে নিয়ে একটি ইসলামি জোট গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল পাকিস্তান।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মালয়েশিয়ায় সফরে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিকল্প একটি মুসলিম জোট গঠনের কথা বলেন। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ওআইসির অসহযোগিতামূলক মনোভাবের প্রসঙ্গ এনে ইমরান খান বলেন, আমরা সামান্য কাশ্মীর ইস্যুতেও এক হতে পারি না।
এদিকে গত মে মাসে রিয়াদ সফর করেছেন ইমরান খান ও তার মন্ত্রীরা। তবে সৌদি আরব এখনো পাকিস্তানের অভিপ্রায় ও পদক্ষেপ নিয়ে সন্দেহজনক অবস্থানে রয়েছে। সূত্র: এএনআই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।