কর্মস্থলে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা কোন স্তরে আছেন প্রথমেই সেটা জানতে হবে। যদি প্রাথমিকভাবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ঝুঁকিটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় তাহলে সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিল প্রয়োজন হবে। কিন্তু ব্যক্তির সমস্যাটি যদি চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকে সে ক্ষেত্রে দরকার হবে ক্লিনিক্যাল সহায়তার।
সহায়তার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির কর্মস্থলের ওপর। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা আছে। তবে আমার পরামর্শ হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই কর্মীর শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে।
সে ক্ষেত্রে একজন সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে, যিনি এ ধরনের ঝুঁকিতে থাকা কর্মীকে প্রাথমিকভাবে সহযোগিতা করবেন। যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের সক্ষমতা না থাকে, তাহলে যে সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিটা আসে মানসিক চাপ থেকে। আর মানসিক চাপ আসে কর্মপরিবেশ বা নেতৃত্ব থেকে। তাই প্রতিষ্ঠান এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা নিয়োগদাতাদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তাই ‘বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসেবে নিয়োগদাতা ও কর্মীর জন্য কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। দ্বিতীয়ত, নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা। তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা। যখনই এ তিনটি বিষয়ের সংমিশ্রণ কোনো প্রতিষ্ঠানে থাকবে তখন আমরা ধরে নিতে পারব ওই প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে বেস্ট প্র্যাকটিস চালু রয়েছে।
আমাদের দেশে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকাদের মধ্যে বেশির ভাগই কিশোর-কিশোরী। তাদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেই। তাই প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগানো গেলে ‘অ্যাকসেস গ্যাপটা’ কমে যাবে। তাই একজন সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর যে পরামর্শটা সরাসরি দেন, সেটি তিনি প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করেই দিতে পারেন। এতে একই সময়ে অনেকের কাছে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছানোর সুযোগ থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।