জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের দুজনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টায় উপজেলার চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে শুরু হয় সম্মেলন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকেই পরিষদের জেলা কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র থেকে গোপনে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি শুক্রবার চৌমুহনীতে প্রতিনিধি সভার কথা বলে সকল উপজেলার নেতাদের ডেকে চৌমুহনী পৌর অডিটোরিয়ামে একত্রিত করেন। কিন্তু সভাস্থলে তারা দেখতে পান সেখানে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ব্যানার লাগানো হয়েছে। উপজেলার নেতারা সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে আহ্বায়ক কমিটির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ।
খবর পেয়ে, বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে জানতে জেলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য বলেন, সংঘর্ষ হলেও সম্মেলন বন্ধ হয়নি। সম্মেলনে পরিষদের বর্তমান আহ্বায়ক বিনয় কিশোর রায়কে সভাপতি, অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহাকে সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র রতন কৃষ্ণ পালকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান বলেন, কোনও প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।