স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলের চলতি মৌসুমে দারুণ এক কাণ্ড করে আলোচনায় আছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিংকু সিং। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শেষ ওভারে পর পর পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে নাইটদের জয় এনে দিয়েছিলেন তিনি।
এনিয়ে এখনো ভারতজুড়ে আলোচনা চলছে। সবশেষ এতে যোগ সামিল হলেন ভারতের সাবেক মারকূটে ব্যাটসমস্যান বীরেন্দ্র শেবাগ। তার মতে, আগামী দিনে এমনটা আর দ্বিতীয়বার করে দেখাতে পারবেন না রিংকু। যদিও এর জবাবে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেননি রিংকু।
ওই ম্যাচে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে শেষ ওভারে যেকোনো দলেরই এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়।এমন নজির আর কোনো দলেরই নেই। শেবাগ মনে করেন, এই কীর্তি এতটাই বিরাট যে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন না রিংকু। ভবিষ্যতে এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা রিংকুর পক্ষে অসম্ভব।
তিনি বলেন, কেকেআর দলে একটা বিশ্বাস আছে যে রিংকু সিং এখনও আছেন। ধোনি যখন ম্যাচ ফিনিশ করতেন, তখন একটি বিশ্বাস ছিল যে ধোনি এখনও আছেন। নব্বইয়ের দশকে মনে করা হতো তেন্ডুলকার থাকলে ম্যাচ জেতা যায়, না হলে না। এখন সেই একই কথা কেকেআর ও রিংকু সিং-এর। আগে তাদের জন্য আন্দ্রে রাসেল ছিলেন।
শেবাগ বলেন, ক্রিকেটের ইতিহাসে এমনটি কখনও ঘটেনি এবং রিংকু সিং আর কখনও একই কাজ করতে পারবেন না। এই রেকর্ড যে হয়েছে, তা হয়তো ভেঙে যাবে, কিন্তু রিংকু জীবনে কখনোই ছয়টি ছক্কা মেরে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবে না।
ভারতের সাবেক বিধ্বংসী ওপেনার জানান, এমন ইনিংস খেলার জন্য ভাগ্য লাগে। ওই ওভারটা যদি আলজারি জোসেফ করত তা হলে রিংকুও হয়তো জানে যে, ও জেতাতে পারত না। নেটে যশ দয়ালকে অনেক বার খেলেছে রিংকু। তাই ও পরিকল্পনা করে নিতে পেরেছিল।
আইপিএলে প্রথম এক ওভারে পাঁচটি ছয় মেরেছিলেন ‘ইউনিভার্সাল বস’ ক্রিস গেইল। ২০১২ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের রাহুল শর্মার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন গেইল।
এরপর ২০২০ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া। পাঞ্জাবের শেলডন কটরেলকে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালে ব্যাঙ্গালুরুর হার্ষাল প্যাটেলকে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকান রবীন্দ্র জাদেজা। গত মৌসুমে আবার কলকাতার বোলার শিবম মাভি এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা হজম করেছিলেন।
লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দুই মার্কাস স্টয়নিস এবং জেশন হোল্ডার, দুজনে মিলে মাভিকে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা মারেন। কিন্তু, রিংকু ছাড়া কোনো ব্যাটার শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
গুজরাটের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ইনিংস খেলার পর শুক্রবার হায়দরাবাদের বিপক্ষেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রিংকু। ৩১ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। যদিও এই ম্যাচ ২৩ রানে হেরে যায় কলকাতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।