জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাটে জামিনে থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করেছে অতি উৎসাহী পুলিশ! তাদের নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে টাকাও আদায় করে পুলিশ।
হয়রানির শিকার তিন আসামির দাবি, জামিনের কাগজ দেখানোর পর রাতভর থানা হাজতে শুধু আটক রেখে নির্যাতনের ভয় দেখায় পুলিশ।
অবশেষে সোমবার তাদের কানাইঘাটের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি দেন।
জানা গেছে, কানাইঘাট উপজেলার দনা চা বাগান এলাকার বিজু লালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল একই এলাকার হাজী চুনু মিয়া, আবুল কালাম আজাদ ও সোয়েবের। এরই জের ধরে বিজুলাল থানায় একটি জিডি করেন।
জিডির আলোকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারায় পুলিশ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে আসামিরা আদালত থেকে জামিন নেন এবং জামিনপ্রাপ্তির প্রমাণপত্র (রিকল) থানায় দাখিল করেন।
সিলেটের আদালতের সিনিয়র আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, জামিনে থাকা তিন আসামিকে রোববার রাত গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় জামিনের কাগজপত্র দেখানোর পরও কানাইঘাট থানার এসআই বিল্লাল হোসেন তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। তাদের সারারাত থানা হাজতে আটকে রাখেন।
তিনি জানান, আটকের পর রাতে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা আদায় করে পুলিশ। বিষয়টি আদালতের গোচরীভূত হলে তাদের সঙ্গে সঙ্গেই মুক্তি দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট দিলু আইন রক্ষাকারী পুলিশের এমন ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা গর্হিত অপরাধ।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কানাইঘাট থানার ওসি মো. শামসুদ্দোহা বলেন, যথাসময়ে জামিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীকালে জামিনের কাগজপত্র দেখালে আদালত তাদের মুক্তি দেন। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।