জুমবাংলা ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি এবং প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির খলনায়ক আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে কেকা রায় চৌধুরীকে পদত্যাগ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্কুলের শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। একই সঙ্গে স্কুলের পদার্থবিজ্ঞানের সিনিয়র শিক্ষক ফারহানা খানমসহ গভর্নিং বডির পদত্যাগ পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
রোববার (১১ আগস্ট) সকাল দশটায় ডেইলি রোডে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের সামনে এই বিক্ষোভ করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। একই দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি দেন অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলেন তারা। একই সঙ্গে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির পদত্যাগ করতে হবে।
আন্দোলনের অংশ নেওয়া তাই মুহতামিম জারিন বলেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের হুমকি এবং প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী, পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ফারহানা খানম এবং মূল শাখার বাংলা ভার্সন প্রভাতীর সহকারী প্রধান শিক্ষক সঙ্গীতা মাহজাবিন ইমামকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ এবং গভর্নিং বডি বিলুপ্তির এক দফা দাবি জানান বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। মন্তব্যের জন্য অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তিনি গত কয়েকদিন অফিসেও আসেননি বলে জানা গেছে।
পরে অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, তোমরা যে দাবিতে আন্দোলন করছ এসব অভিযোগ কোনোটাই সত্য নয়। তোমরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছো সেখানে আমি বাধা দিয়েছি কোন প্রমাণ নেই প্রমাণ করতে পারো তাহলে আমি এরপর থেকে সরে যাব। আর তোমরা যদি আমাকে একেবারেই না চাও তাহলে আমি সর্বোচ্চ টা বিসর্জন দিতে রাজি আছি।।
তিনি বলেন, আমি আসার পরে এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি কোন ভর্তি বাণিজ্য হয়নি সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। তারই বক্তব্যের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয় এবং আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেয়।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার নেপথ্যে আমেরিকা, দাবি হাসিনার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।