জুমবাংলা ডেস্ক : অনেকের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা, বিশ্বজুড়ে তার বক্তৃতায় অনুপ্রাণিত হন বহু মানুষ। ডক্টর মালবিকা আইয়ারের জীবন যুদ্ধের কাহিনি ফের উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে অনেক মানুষকে। সম্প্রতি তার জন্মদিনে নিজেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি টুইট করেন মালবিকা। সেখানে জীবনের প্রতি তার আশাবাদী মনোভাবই ফুটে উঠেছে।
ভারতের তামিলনাড়ুর কোমবাকোনামে ১৯৮৯ সালে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মালবিকা। বাবা চাকরি সূত্রে তার ছোটবেলা কাটে রাজস্থানের বিকানেরে। ২০০২ সালের ২৬ মেবিকানেরের বাড়িতে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ হয়, গুরুতর আহত হন, দু’টি হাতই উড়ে যায়। ১৮ মাস হাসপাতালে কাটে।
মালবিকা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সময় চিকিত্সকরা কিছু ভুল করে ফেলেন। যার ফলে তার ডান হাতের হাড় মাংসপেশির বাইরে রয়ে যায়, আর ঢাকা পড়েনি। যে হাড়ে যদি এখনও জোরে কোনও আঘাত লাগে প্রাণ বেরিয়ে যাওয়ার যোগাড় হয়। কিন্তু সেই বেরিয়ে থাকা হাড়ই তাঁর এক মাত্র আঙুলের কাজ করে। যা তাঁকে টাইপ করতে সাহায্য করে। এর সাহায্যেই তিনি নিজের পিএইচডি থিসিস টাইপ করেছেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শুরু হয় মালবিকার লড়াই। সেই লড়াই একটু একটু করে জিততে শুরু করেন তিনি।দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক ও দিল্লির স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ২০১২ সালে চেন্নাই থেকে এমফিল করেন। সোশ্যাল ওয়ার্কের উপরেই পিএইচডি করেন।
পড়াশোনা শেষ করে সমাজসেবা শুরু করেন মালবিকা। তার মতোই যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের নিয়েই তার কাজ। সেই সঙ্গে চলে মোটিভেশনাল স্পিচ,মডেলিং। সমাজসেবায় তার ভূমিকার জন্য মহিলা হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান, ‘নারী শক্তি পুরস্কার’ পান মালবিকা। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে (৮ মার্চ) রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মালবিকার জন্মদিন ছিল। সেদিন সকালে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জন্মদিনে আমাকে শুভেচ্ছা’। সেই সঙ্গে বোমার আঘাতে দু’টি হাত উড়ে যাওয়ার কথাও লিখেছেন। যাতে তার লড়াকু মানসিকতারই ঝলক মিলেছে। এই টুইটের কমেন্ট বক্সে আরও কয়েকটি টুইট করেন মালবিকা। সেখানে তিনি তার লড়াই অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। আর সেই সব টুইট প্রচুর লাইক, শেয়ার পড়েছে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।