স্পোর্টস ডেস্ক : শিভাম দুবের অভিষেক ম্যাচ। উইকেটে নেমে বেশ দেখেশুনে শুরু করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম তিন বল মোকাবেলায় করেন মাত্র ১ রান। চতুর্থ বলটিতেই পড়েন বিপদে। এমনই বিপদ, নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না দুবের।
ইনিংসের ১৬তম ওভারের ঘটনা। নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার ওভারের ষষ্ঠ ডেলিভারিটি বুঝতে না পেরে আলতোভাবে সোজা খেলে দেন দুবে, বল চলে যাচ্ছিল আফিফের মাথার ওপর দিয়ে। কে জানতো, এই বলটিও ধরে ফেলবেন তরুণ এই অলরাউন্ডার?
লাফিয়ে ওঠে বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে যেভাবে ক্যাচটি নেন আফিফ, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শক বোকা বনে যান। সবাই হা হয়ে থাকেন, এমন অবিশ্বাস্য ক্যাচও তালুবন্দী করা সম্ভব?
এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ওভারে তিনি বল তুলে দেন শফিউল ইসলামের হাতে। শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। ওভারের প্রথম পাঁচ ডেলিভারিতে ১০ রান দিয়ে বসেন শফিউল। রোহিত শর্মা হাঁকান দুই বাউন্ডারি।
তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠতে থাকা রোহিতকে ঠিকই আটকে দেন শফিউল। পঞ্চম বলটিতে বাউন্ডারি হজম করেছিলেন। পরের বলটাই দুর্দান্ত এক ডেলিভারি দেন টাইগার পেসার, রোহিত বুঝতেই পারেননি। প্যাডে বল আঘাত হানে।
আবেদনে আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার। রোহিত অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। স্ট্যাম্প পেয়ে যায় বল। ফলে হতাশা নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে (৫ বলে ৯)। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
দ্বিতীয় উইকেটে সেই বিপদ কিছুটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন শিখর ধাওয়ান আর লোকেশ রাহুল। তবে তাদের জুটিটাকে ২৬ রানের বেশি এগুতে দেননি বাংলাদেশ দলের তরুণ লেগস্পিনার বিপ্লব।
বিপ্লব ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছেন আজ। সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন এই লেগি, আর প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়েই পান উইকেটের দেখা। তার বাঁক খাওয়া ডেলিভারি বুঝতে না পেরে শর্ট কাভারে মাহমুদউল্লাহর সহজ ক্যাচ হয়েছেন লোকেশ রাহুল (১৭ বলে ১৫)।
ভারত ৩৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসে চালিয়ে খেলছিলেন শ্রেয়াস আয়ার, দ্রুত রানও তুলে দিচ্ছিলেন। অবশেষে এই ব্যাটসম্যানকেও সাজঘরের পথ দেখান বিপ্লব। ১৩ বলে ২২ রান করে আয়ার বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন নাইম শেখের।
বাংলাদেশি বোলারদের এমন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে খোলসে ঢুকে পড়েন ধাওয়ান। টি-টোয়েন্টিতে টেস্টের মতো টুকটুক করে খেলতে থাকেন বাঁহাতি এই ওপেনার। একটা সময় বলের তুলনায় রানে অনেক পিছিয়ে ছিলেন। পরের দিকে হাত খুলে কিছুটা ঘাটতি পোষানোর চেষ্টা করেেছিলেন ভারতীয় এই ওপেনার।
বল নষ্ট করার চাপটা তো মাথায় ছিলই। সেই চাপের মুখেই ৪২ বলে ৪১ রান করে রানআউটের কবলে পড়েন ধাওয়ান। মাহমুদউল্লাহর ওভারে সিঙ্গেলের জন্য দৌড়েছিলেন, কিন্তু অপরপ্রান্তে থাকা রিশাভ পান্ত সাড়া দেননি। মুশফিক বল পেয়ে স্ট্যাম্পটা ভেঙে দিতে ভুল করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।