জুমবাংলা ডেস্ক : টেকনাফ মডেল থানার বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অসুস্থতা (মেডিক্যাল লীভ) জনিত ছুটিতে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই তিনি টেকনাফ থানায় উপস্থিত নেই। গতকাল থেকে থানাটির ভারপ্রাপ্ত ওসি হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম এস দোহা।
জানা গেছে, থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গতকাল মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসেবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্তৃপক্ষ যথারীতি তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি তার পরিবর্তে এ বি এম এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বুধবার টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করেন।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ্ বাদীর দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে বিশেষ বাহক মারফত জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছে টেকনাফ থানায়।
বিজ্ঞ আদালতের বিচারক একই সঙ্গে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ কে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী সহ মামলার ৯ জন আসামি আপনা-আপনি হত্যা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আসামি হিসাবে গণ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেছেন, টেকনাফ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। সূত্র : কালের কন্ঠ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।