জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের লালপুরে একই জায়গায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ সভা আহবান করায় শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। দুরামপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই সভা আহবান করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টায় স্থানীয় রামপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের সমর্থকরা এই পাল্টাপাল্টি সম্মেলনের আয়োজন করেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নায়েব উদ্দীন মালিথা সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের পক্ষে ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান সাবেক সাংসদ আবুল কালামের পক্ষে সম্মেলন আহ্বান করেন।
মঙ্গলবার রাত ৮টায় মাইকিং করে সম্মেলনস্থল রামপাড়া স্কুল এন্ড কলেজে মাঠ ও আশেপাশের এলাকাসহ সমগ্র ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি সাধারণ জনগণকে অবহিত করে প্রশাসন।
জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর বুধবার রামপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সাবেক ও বর্তমান সাংসদের অনুসারীরা একই সময়ে ইউনিয়ন ও ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সম্মেলন আহ্বান করে। এতে করে লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক ও উত্তেজনা বিরাজ করে।
মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু ও সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী। ওই সভা শেষ হলে সম্মেলন স্থলের আশেপাশে প্রতিপক্ষের অনুসারীরা অবস্থান নিতে শুরু করে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যূতি বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২২ সমগ্র ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যূতি ও লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানান, যেকোনো সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুই পক্ষকেই নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
এদিকে সম্মেলন আহ্বান নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে বর্তমান ও সাবেক সাংসদ গ্রুপ।
লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সম্মেলন পণ্ড করতে প্রশাসনকে প্রভাবিত করেছেন। তার অনুসারীরা আমাদের পরে সম্মেলন আহবান করেছে। একই স্থানে সম্মেলন আহবান করায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমাদের এই শান্তিপূর্ণ সম্মেলন পণ্ড করায় তীব্র নিন্দা জানাই।
সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার বার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আগে ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করে ইউনিয়ন সম্মেলন করতে। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগ সেই নির্দেশ অমান্য করে ওয়ার্ড সম্মেলন না করে ইউনিয়ন সম্মেলন আহবান করেছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার মোতাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন আয়োজন করে সেখানে সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ ও আমাকে থাকতে বলা হয়েছিল।
উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সম্মেলনের ব্যাপারে অবহিতও করেনি এবং নির্দেশনাও অমান্য করেছে। আমি কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে গিয়ে গঠনতন্ত্রবিরোধী সম্মেলন অংশ নিতে পারব না। তাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে ওয়ার্ড সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে বলে জেনেছি এবং এটিই যৌক্তিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।